ঘুরে আসুন আনারস রাজ্যে
Tweet
শ্রাবণের শেষ অবধি আনারসের ভরা মৌসুম। এরই মাঝে আপনি চাইলে ঘুরে আসতে পারেন শ্রীমঙ্গলের মোহাজেরাবাদ, বিষামনি, পিচের মুখ বা সাতগাঁও পাহাড়ে । দেশের সবচেয়ে বেশি আনারস উৎপন্ন হয় এই শ্রীমঙ্গলে, তাই শ্রীমঙ্গলকে অনেকে আনারসের রাজধানীও বলে থাকেন।
যা দেখবেন
চলতি পথে দেখতে পাবেন সারি সারি ভ্যানভর্তি আনারস নিয়ে শহরে যাচ্ছে একদল লোক। ভ্যানের পাশাপাশি সাইকেলেও আনারস ঝুলিয়ে বাজারে যাচ্ছে অনেকেই। শ্রীমঙ্গলের সুমিষ্ট ‘বিলাতী’ (হানিকুইন) এবং রসালো ‘ক্যালেন্ডার’ (জায়ান্ট) আনারসের নাম আজো রয়ে গেছে; কিন্তু মিষ্টতা, সুগন্ধ এবং রসে পরিপূর্ণ আনারসের সে সমাহার আর নেই। উৎপাদন কমে যাওয়ায় শ্রীমঙ্গলের বাজার এখন দখল করে নিয়েছে অন্য জেলার আনারস। ষাটের দশকে শুরু হওয়া আনারস চাষের হিড়িকে দুই দশকের ভেতরেই স্থানীয় ‘বালিশিরা হিলস’ এবং ‘ফয়েজাবাদ হিলস’-এর পুরোটাই আনারস চাষের আওতায় চলে আসে এবং ‘শ্রীমঙ্গলের আনারস’-এর পরিচিতি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শ্রীমঙ্গলের মৌসুমি ফলের বাজারের চিত্র বদলে গেছে।
শ্রাবণ-ভাদ্র পর্যন্ত যেখানে ফলের পাইকারি বাজার পূর্ণ থাকত স্থানীয় আনারসে, সেখানে আষাঢ়ের মাঝামাঝিতেই স্থানীয় আনারসের সমাহার কমে যায়। শুরু হয় অন্য জেলা থেকে আনারসের আমদানি। কিন্তু এখন ভোক্তার সংখ্যা বাড়লেও আনারসের প্রাপ্যতা তিন-চতুর্থাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে। আর এ শূন্যতা পূরণ করছে মধুপুরের আনারস । তবে মধুপুরের আনারসে ভোক্তার রসনা তৃপ্ত হয় না পরিপূর্ণভাবে। মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়ায় ফাপানো এ আনারসের সুগন্ধ ও মিষ্টতা শ্রীমঙ্গলের আনারসের ধারেকাছেও না বলে আনারস ভোক্তাদের অভিমত।
কীভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে বাস অথবা আন্তঃনগর ট্রেনে শ্রীমঙ্গল যেতে পারেন। সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত অনেক বাস পাবেন (হানিফ, শ্যামলী, ইউনিক ইত্যাদি)। ভাড়া ২৬৫-৫০০/- অথবা চাইলে সিলেট থেকেও যেতে পারেন শ্রীমঙ্গলে।