ঘুরে আসুন লাল কাকড়ার চর
Tweet
মাইলকে-মাইল বালুচরজুড়ে লাল কাঁকড়ার সমারোহ। এখানে-সেখানে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অসংখ্য লাল কাঁকড়া। দূর থেকে দেখলে মনে হবে বালুচরে অসংখ্য লাল বর্ণের কিছু ছিটিয়ে রাখা রয়েছে।
সামান্য দূরত্বে আছড়ে পড়ছে সমুদ্রের বিশালাকার ঢেউ; এলোচুলের পাগলা হাওয়া; ওপরে সুনীল আকাশ। আর বিস্তীর্ণ বালুকাবেলাজুড়ে ছুটোছুটিতে মত্ত লাল কাঁকড়া।
দিনের আলোয় এ লাল কাঁকড়ার আলপনার মুগ্ধতার রেশ শেষ না হতেই, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তে সৈকতের লাল কাঁকড়ার মহড়ার অনিন্দ্য সৌন্দর্য আপনাকে মন্ত্রমুগ্ধ করে তুলবে।
অবচেতন মনের কিংবা শিল্পীর ক্যানভাস সদৃশ এ দৃশ্য চর্মচক্ষে দেখতে হলে যেতে হবে দেশের সাগরকন্যাখ্যাত পটুয়াখালীর কুয়াকাটায়।
কুয়াকাটা থেকে অল্প সময়ের দূরত্ব লাল কাঁকড়ার চর। তবে সাগরকন্যার লাল কাঁকড়ার চরে এসে শুধু লাল কাঁকড়াই নয়; রয়েছে বিমোহিত হওয়ার মতো উম্মত্ত বঙ্গোপসাগর। আর অন্যপাশে বন বিভাগের নিরলস পরিশ্রমে গড়ে তোলা সবুজের নিসর্গ (বৃক্ষরাজি)।
কুয়াকাটা সৈকত থেকে সদা সতর্ক ও ‘লাজুক’ লাল কাঁকড়ার দর্শন পেতে ওই চরে যেতে হবে মোটরসাইকেল বা অন্য কোনো বাহনে চেপে। কেননা লাল কাঁকড়া পায়ের শব্দে তড়িৎ গতিতে গর্তে লুকিয়ে পড়ে। ফলে হেঁটে গেল কাছ থেকে লাল কাঁকড়া দর্শনের সাধ অপূর্ণই থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
স্থানীয়রাও তেমনটাই জানালেন। তারা জানান, ওই চরে মোটরসাইকেলে করে গেলে চলতি অবস্থাতে খুব স্পষ্টভাবে লাল কাঁকড়া দেখতে পাওয়া যায়। তবে মোটরসাইকেল থামিয়ে ধরতে গেলেই নিমিষেই ভোজবাজির মতো গর্তে অবস্থান নেবে কাঁকড়া।
কীভবে যাবেন
ঢাকার গাবতলি বাস টার্মিনাল থেকে সাকুরা,গোল্ডন লাইন, এইচ আলী বাসে করে কুয়াকাটা। কুয়াকাটা থেকে লেবুতলা বিচে মটরবাইকে করে এর পাশেই কাকড়ার চর আর দেখে আসুন অপরুপ সূর্যাস্ত। এক মটরবাইক ভাড়া নিবে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ঢাকা থেকে বাসে কুয়াকাটা, ওখান থেকে মটরসাইকেলে লাল কাঁকড়ার চর । অথবা সদরঘাট থেকে লঞ্চে পটুয়াখালী, ওখান থেকে বাসে কুয়াকাটা, কুয়াকাটা থেকে মটরসাইকেলে লাল কাঁকড়ার চর । মটরসাইকেলে চড়ার আগে দামাদামি করে নেবেন ।
কোথায় থাকবেন
কুয়াকাটায় ১ থেকে ৪ স্টার মানের হোটেল রয়েছে। চৌরাস্তার আশে পাশে বনানি, কুয়াকাটা ইন, পর্যটন এইগুলো বেশ ভাল মানের হোটেল। ভাড়া ডাবল নন-এসি ১০০০-১৫০০ টাকা, এসি ২৫০০-৪০০০ টাকা।
কী খাবেন
দুপুর-রাতের খাওয়ার সময় কোরাল, বাইম ট্রাই করতে পারেন অথবা সাগর পার থেকে লাক্ষা, কাঁকড়া কিনে হোটেলে দিলে ওরা রান্না করে দিবে।