বিমানবন্দরের হেল্প ডেস্কে নেই ‘হেল্প’ করার মতো কেউ!
Tweet
হযরত শাহজালাল
আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রায় প্রতিদিনই করা হয় নানারকমের
অভিযোগ। লাগেজ হারানো, সময়মতো
না পাওয়া, লাগেজ
কেটে মূল্যবান জিনিসপত্র চুরিসহ বিভিন্ন রকমের অভিযোগ রয়েছে যাত্রীদের
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগ সরাসরি শুনতে গতকাল সোমবার (২৮শে
অক্টোবর) বিমানবন্দরে গণশুনানির আয়োজন করেছিল বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
তবে খুবই কমসংখ্যক
যাত্রী হাজির হয়েছিলেন
এই গণশুনানিতে। অন্যান্য অভিযোগের পাশাপাশি উপস্থিত কয়েকজন যাত্রীরা বিমানবন্দরের
হেল্প ডেস্কে প্রয়োজনের
সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউকে না পাওয়াসহ বিভিন্নভাবে হয়রানির অভিযোগ করেছেন।
গণশুনানিতে স্পাইস
জেটের কর্মকর্তা মিথুন বিশ্বাস বলেন, ‘বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে যাত্রীদের বহির্গমন ফরম
পূরণ করতে হয়। কিন্তু বিমানবন্দরের যাত্রী সেবা ডেস্কে দায়িত্বপ্রাপ্তদের
পাওয়া যায় না প্রায়ই। ফলে সমস্যায় পড়েন স্বল্প শিক্ষিতরা। তাঁরা প্রায়ই আমাদের
কাছে এমন অভিযোগ করেন।’ এই অভিযোগের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘হেল্প ডেস্কে না পেলে প্রবাসী কল্যাণ
ডেস্কে সহায়তা পাওয়া যাবে।’
গতকাল সকালে
বিমানবন্দরের কনকর্স হলে আয়োজিত গণশুনানিতে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর
রহমান, হযরত
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক উইং কমান্ডার
তৌহিদ-উল-আহসান, বিমান
বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের
ফ্লাইট অপারেশন বিভাগের পরিচালক এ বি এম ইসমাইলসহ ঊর্ধ্বতন অন্যান্য কর্মকর্তা ছিলেন।
আগের গণশুনানি বেবিচক
অফিস এলাকায় হলেও এবার বিমানবন্দরের ভেতরে করায় এদিন যাদের ফ্লাইট ছিল শুধু তারাই এতে
অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন। এসংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে বেবিচক
চেয়ারম্যান সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায়
ব্যানার-ফেস্টুন টাঙানো হয়েছে। তবু যাত্রীর উপস্থিতি কম।’
বেবিচক চেয়ারম্যান
বলেন, ‘বিমানবন্দরের
অভ্যন্তরে অভিযোগ বাক্স রাখা আছে। সেখান থেকে পাওয়া অভিযোগও আমরা
পর্যালোচনা করে দেখছি। সিভিল এভিয়েশনের কোনো কর্মকর্তার মাধ্যমেও যদি কোনো যাত্রী
হয়রানির শিকার হন, তাহলে
আমাকে জানালে
সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেব।’
শহিদুল আলম নামের
আরেকজনের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শাহজালালে যাত্রী ভোগান্তি কমেছে, আরো কমবে। বিচ্ছিন্ন কিছু
ঘটনা ছাড়া সার্বিক সেবার মানে পরিবর্তন এসেছে।’
বিমানের এক যাত্রী
বলেন, ‘বিজি-৩৭
ফ্লাইটের টিকিট কাটা হয়েছে সৌদি আরবের মদিনা থেকে। সেখানে ভুলক্রমে পাসপোর্ট
নম্বর লেখা ছিল না। এরপর বিমানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে
পাঁচ-সাতবার ঘুরলেও তারা তথ্যটি আপডেট করে দিচ্ছেন না। অথচ আজ না দিলে আমি যেতেই
পারব না।’ বেবিচক
চেয়ারম্যান তৎক্ষণাৎ উপস্থিত বিমানের এয়ারপোর্ট সার্ভিস বিভাগের
উপমহাব্যবস্থাপককে বিষয়টি সমাধানের নির্দেশ দেন।