সিনেমা আর সিরিজের কারনে বিখ্যাত হয়ে ওঠা জায়গা

Share on Facebook

দ্য জোকার স্টেয়ার্স নামকরন করা হয়েছে এখন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরের ১১৬৫ শেক্সপিয়র অ্যাভিনিউতে অবস্থিত একটি নামহীন সিঁড়িকে। মাত্র ২ মাস আগে রিলিজ হওয়া হলিউডের সিনেমা ‘জোকার’ ইতিমধ্যেই সাড়া জাগিয়েছে সারাবিশ্বে। সবার মুখে মুখে থাকা হলিউডের তারকা ওয়াকিন ফিনিক্স অভিনিত ‘জোকার’ বর্তমান সময়ের সবচাইতে জনপ্রিয় সিনেমার নাম।
মনস্তাত্ত্বিক এই থ্রিলারটির শেষের দৃশ্যে তারকা ওয়াকিন ফিনিক্স জোকারের সাজে ব্রিটিশ গায়ক গ্যারি গ্লিটারের গাওয়া ‘রক অ্যান্ড রোল পার্ট টু’ গানটির সঙ্গে একটি সিঁড়ির ওপর দাঁড়িয়ে নাঁচতে দেখা যায়। জোকার জ্বরে আক্রান্ত বিশ্বের সব ভক্তদের এখন আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে ওই সিঁড়িটি। প্রত্যেকেই জোকারের মতো নেচে ছবি তুলছেন, ভিডিও করছেন।

এই সিঁড়ি নিয়ে কমেডিয়ান ডিসাস এক টুইটে বলেন, সিঁড়িটিতে
বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছ থেকে কর চাইতেই পারে ব্রঙ্কসের বাসিন্দারা।

ইউক্রেইনের চেরনোবিল হয়ে উঠেছে একটি বড় পর্যটক আকর্ষণ টিভি সিরিজ চেরনোবিলের কল্যাণে। ১৯৮৬ সালের ২৬শে এপ্রিলে ইউক্রেইনের চেরনোবিল প্লান্টে বিশ্বের সবচাইতে ভয়ংকর নিউক্লিয়ার বিস্ফোরণের ঘটনাকে নিয়ে বানানো হয় টিভি সিরিজ চেরনোবিল। এই বিস্ফোরনে ৩১ জন মানুষ মারা যায়। এবং ভয়ংকর মাত্রার নিউক্লিয়ার রেডিয়েশন ছড়িয়ে পড়ে জীবন ঝুকির সম্মুখীন হয় কয়েক লক্ষ মানুষের। মাত্র ৫টি পর্বে তৈরি করা এই সিরিজটি বর্তমানে পৃথিবীর সবচাইতে জনপ্রিয় টিভি সিরিজের খেতাব পেয়েছে সর্বত্র। একইসাথে তা আকর্ষিত করেছে পর্যটকদের ইউক্রেইনের চেরনোবিল প্লান্টে।

সিরিজে চিত্রায়িত চেরনোবিল প্লান্ট

যদিও চেরনোবিল সিরিজটির শ্যুটিংটি করা হয়েছিলো মূলত লিথুয়ানিয়ায়। কিন্তু সিরিজটির চিত্রায়ণ এতোটাই নিঁখুত হয়েছে যে ভক্তরা আগ্রহী হয়ে উঠেছে সত্যিকারের চেরনোবিলকে দর্শন করতেই। ফলে ইউক্রেইন সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে চেরনোবিল প্লান্ট ভ্রমণকে নিরাপদ করে তুলেছে। এই বছর জুনের শুরুতে চেরনোবিল রিলিজ হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০০ জন দর্শক ভ্রমণ করে সেখানে।

অর্ধদশকের বেশি সময় নিয়ে চলা বিখ্যাত টিভি সিরিজ গেইম অব থ্রোন্স বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়েছে সবচাইতে বেশি। জনপ্রিয়তার এক নতুন মাত্রা সৃষ্টি করা এই টিভি সিরিজিটি দীর্ঘসময় ছিলো দর্শকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে। এই বছরের মে মাসে শেষ হয় ৮ মৌসুমে বানানো এই সিরিজটি। সিরিজ শেষ হয়ে গেলেও ভক্তদের কাছে এর জনপ্রিয়তায় ভাঁটা পড়েনি মোটেও। ভ্রমণপিয়াসীরা তাই ঘুরে বেড়ায় কল্পকাহিনী নিয়ে বানানো এই সিরিজের শ্যুটিং স্থানগুলোতে। এই সিরিজের বেশিরভাগ শ্যুটিংই করা হয় ক্রোয়েশিয়া, স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, স্পেন, মরক্কো, মাল্টা ও আইসল্যান্ডে।
সবচাইতে জনপ্রিয় স্থানগুলো হচ্ছে স্কটল্যান্ডের ডওন ক্যাসল (সিরিজের উইন্টারফেল), আইসল্যান্ডের থিংভ্যালি (নর্থ অব ওয়েস্টেরস), লেক মিভ্যাটন (নর্থ অব দ্য ওয়াল), ক্রোয়েশিয়ার ডুব্রোভিংক (কিংস ল্যান্ডিং), স্পেনের সেভাইল (রয়্যাল প্যালেস অব ডর্ন)।
টিভি সিরিজিটির জনপ্রিয়তার ফলে ইউরোপের এই স্থানগুলোর জনপ্রিয়তা বেড়েছে আরো অনেক বেশি।

Leave a Reply