আকাশ ভ্রমণকে করুন ঝামেলামুক্ত ও আরামদায়ক
Tweet
আকাশপথে ভ্রমণ করতে যাচ্ছেন, সেক্ষেত্রে টুকটাক অনেক কিছুই
হয়তো আপনার জানা। কিন্তু জানেন কি, এ সময় কোন ধরনের খাবার এড়িয়ে
যাওয়া ভালো? কিংবা কি করলে কমানো যাবে দীর্ঘযাত্রার জেটল্যাগ?
যদি জানা না থাকে, তবে জেনে নিন এখনই। এতে ভ্রমণের সময় অযথা ঝামেলাতো
এড়ানো যাবেই, একই সঙ্গে ভ্রমণ হবে আনন্দময়।
অস্বস্তি এড়াতে যা
খাবেন না-
১. ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, বার্গার, চিকেন ফ্রাই ইত্যাদি তেল-মসলাযুক্ত ফাস্টফুডের খাবার আকাশপথে
পাড়ি দেয়ার আগে এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয়। ৩৫ হাজার ফুট ওপরে ওড়ার সময়ে এসব খাবার হজম
করতে সময়ও লাগবে অনেক বেশি। ফলে অস্বস্তিতে কাটবে যাত্রার পুরোটা সময়।
২. কার্বোনেটেড বেভারেজ যেমন কোকা-কোলা, সোডা, বিয়ার ইত্যাদি আকাশপথে যাত্রার আগে এড়িয়ে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। আকাশপথে বাতাসের
চাপ যেহেতু পরিবর্তন হয়, সেদিক থেকে এ ধরনের পানীয় পানের কারণে
ওড়ার পর থেকেই অস্বস্তির জোগান দেবে। এমনকি চা কফিও কম গ্রহণ করার বিষয়ে নজর দিন।
৩. ডায়েট করছেন যারা, চোখ বন্ধ করেই বেছে নিন চিনিবিহীন যেকোনো
খাবার। এমনকি সেটা যদি হয় চুইংগাম বা চকোলেট তাও। চিনিযুক্ত খাবার পেটে গ্যাস জমা হওয়া,
স্ফীতভাব তৈরি হওয়া, ইত্যাদি সমস্যার অন্যতম কারন। তাই যাত্রাপথের সময়টুকু
ভালোভাবে কাটাতে এ ধরনের খাবার এড়িয়ে যাওয়া ভালো।
জেটল্যাগ এড়াতে যা করবেন-
১. পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেবার চেষ্টা করুন বিমানযাত্রা শুরুর আগেই। যাত্রার আগেই বিশ্রামহীনতার সমস্যা থাকলে যাত্রাপথে অসুস্থতা বাড়িয়ে তোলে সেটা কয়েকগুণ বেশি।
২. ভিন্ন টাইমজোনে ভ্রমণ করবার আগে সেই টাইমজোনের সাথে মিলিয়ে চলার চেষ্টা করুন যাত্রার কিছুদিন আগে থেকেই। আপনার গন্তব্যস্থানের সাথে মিলিয়ে ঘন্টাখানেক আগে কিংবা পরে ঘুমানোর চেষ্টা করুন অন্তত ৮-১০ দিন। ফলে নতুন স্থানে যাওয়ার পর সেখানকার সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারবেন আপনি আরও সহজে।
৩. গন্তব্যস্থানে পৌঁছাবার সাথে সাথেই মানিয়ে নিতে চেষ্টা করুন স্থানীয় সময়ের রুটিনের সাথে।
৪. অতিরিক্ত খাওয়া বর্জন করে যতটুকু দরকার শুধু সে পরিমাণেরই খাবার গ্রহণ করুন।
৫. যথেষ্ট পরিমাণের পানি পান করুন। তবে চা-কফি বা অ্যালকোহলকে এড়িয়ে চলাই ভালো।
৬. সম্ভব হলে চেষ্টা করুন নির্দিষ্ট দিনের আগেই গন্তব্যে পৌছে যেতে।
এছাড়াও দীর্ঘ ভ্রমণে সময় কাটানোটা হয়ে ওঠে বড় একটি সমস্যা।
তাই বিরক্তি কাটাতে সাথে নিতে পারেন পছন্দমতো ভালো বই। পড়ার কিংবা ভালো সিনেমা
দেখার অভ্যাস থাকলে সময় কাটানো সহজ হবে আপনার জন্য।