নিজস্ব ইয়োলোস্টোন ন্যাশনাল পার্ক তৈরির কথা ভাবছে চীন
Tweet
অ্যামেরিকার পশ্চিমে অবস্থিত ইয়োলোস্টোন ন্যাশনাল পার্ক পরিচিত বিশ্বব্যাপী। ২২ লক্ষ একরেরও বেশি আয়তনের এই পার্ক জনপ্রিয় এখানকার বন্যজীবন, বাস্তুতন্ত্র ও বিভিন্ন ভৌগলিক বৈশিষ্ট্যের জন্য। সুবিশাল এই ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্কে থেকে বিভিন্নরকমের সুবিধাও পায় মার্কিন সরকার। সেজন্যই এমনই একটি বিশাল পার্ক বানাতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে চীন সরকার।
রাষ্ট্রের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় হলেও চীনে এইরকমের একটি জাতীয় উদ্যান তৈরি করা অত্যন্ত দীর্ঘমেয়াদের কাজ হবে বলেই মনে করেন বাস্তুবিদরা। শিল্পায়ন ও অর্থনীতিতে ব্যাপক অগ্রগতির পর রাষ্ট্রের প্রাকৃতিক ব্যবস্থাতেও ভারসাম্য আনতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে এখন চীন সরকার। পরিবেশের উন্নতি ও প্রকৃতিকে সংরক্ষণ করবার জন্য হলেও একটি সুবিশাল ন্যাশনাল পার্কের প্রয়োজনীয়তা উপলদ্ধি করেছে দেশটির সরকার প্রধানরা।
জল্পনা করা হচ্ছে তিব্বতের মালভূমিকেই নির্বাচন করা হবে বিশাল এই ন্যাশনাল পার্কের জন্য। হিমালয় পর্বতমালার সাথে এর ভৌগলিক সংযোগের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এই মালভূমিটি ১,৬০০ মিটার উঁচুতে। এর বিস্তৃতি প্রায় ৬২ কোটি একর।
অ্যামেরিকার ইয়েলোস্টোনের
মতোই তিব্বতি এই মালভূমিতে বিভিন্ন সম্প্রদায় বসবাস করে। এদেরকে পূর্নবাসিত করবার
কোন পরিকল্পনাও নেই এখনো সরকারের। এদেরকে ভিন্ন স্থানে পূর্নবাসিত করার বদলে বরং
এই প্রকল্পেরই একটি অংশ হিসেবে তাদেরকে নিতে পারে সরকার। পার্কের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার
কাজে অংশ নিতে পারে এই পরিবারগুলো।
বন্যজীবনের সংরক্ষণই এই প্রকল্পের সবচেয়ে জরুরি প্রয়োজন ও লক্ষ্য। তিব্বতি মালভূমি অঞ্চলটি চীনের কিছু বিপন্ন প্রজাতির প্রাকৃতিক আবাসস্থল। অনুমান করা হয় যে বিলুপ্তির প্রান্তে পৌঁছে গেছে ১,৫০০ প্রজাতির প্রানী। এর মধ্যে তুষার চিতাও রয়েছে।
‘সানজিয়ানগিয়ান’ নামের এই ন্যাশনাল পার্কের প্রথম অংশটি সামনের বছরের মাঝামাঝির দিকে খোলা হবে ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য।
সরকারি এই ন্যাশনাল
পার্কের উদ্যোগের আগে চীন পরিচিত ছিলো অসংখ্য ছোট ছোট পার্কের জন্য। তবে সেগুলোর
বেশিরভাগই ব্যক্তিগত মালিকানাধীনের আওতায়। যার যেভাবে খুশী সেভাবেই চালানো হয় পার্কগুলোকে। সমন্বিত
এই পার্কটি সবুজ পৃথিবী অর্জনের জন্য সচেতন একটি প্রচেষ্টা মাত্র।
দেশটির জনগণ আনন্দের সাথে স্বাগত জানিয়েছে সরকারের এই প্রচেষ্টাকে।