চালু হচ্ছে ঢাকা-দার্জিলিং-সিকিম রুটের বাস
Tweet
ঢাকা থেকে ভারতের দুই বড় পর্যটন গন্তব্য
দার্জিলিং ও সিকিমে
শুরু হচ্ছে বাস চলাচল। আগামী ১২ ডিসেম্বর থেকে প্রথমবারের মতো দুই দেশের মধ্যে শুরু হচ্ছে এই বাস যাত্রা। ফলে এখন থেকে
পর্যটকরা ঢাকা থেকে সরাসরি বাসে করেই যেতে
পারবেন সিকিমে।
বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান এহছানে
এলাহী এ বিষয়ে বলেন, ১২ ডিসেম্বর দু’টি
বাস সিকিম ও দার্জিলিংয়ের পথে রওনা দেবে। রাজধানীর মতিঝিল থেকে ছাড়বে বাস দুটি। শ্যামলী
এন আর ট্রাভেলসের দু’টি হুন্দাই বাস বাংলাদেশের সীমানা
পেরিয়ে ১২ ডিসেম্বর প্রথমে ভারতের শিলিগুড়ি পৌঁছাবে। রাতে সেখানে যাত্রাবিরতি
দিয়ে পরদিন ১৩ ডিসেম্বর সকালে ভারতীয় মিনি বাসে দার্জিলিং নেয়া হবে। এর পরদিন ১৪
ডিসেম্বর দার্জিলিং থেকে পাহাড়ি পথে তিস্তা ব্রিজ পর্যন্ত পৌঁছে আবার বাংলাদেশী
বাসে সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকে যাওয়া হবে। ১৫ ডিসেম্বর সিকিমে অবস্থান করে শেষ দিন
১৬ ডিসেম্বর গ্যাংটক থেকে ঢাকার পথে রওনা হবে বাস।
ভারতের একটি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন অনুযায়ী ১২ ডিসেম্বর শুরু হবে এই রুটের বাসের ট্রায়াল রান। এর ওপরে নির্ধারণ করা হবে এই রুটে বাস চলাচল কতটা নিয়মিতভাবে সম্ভব। ট্রায়াল সফল হলেই ঢাকা থেকে পর্যটকরা সরাসরি সিকিম বা দার্জিলিং যেতে পারবেন। একইভাবে ঢাকা আসতে পারবেন সিকিম বা দার্জিলিংয়ের মানুষ।
সংশ্লিষ্টদের মতে, দার্জিলিংয়ের পাঁচ হাজার ফুট উচ্চতার বাঁকে বাংলাদেশের বড় বাসগুলোর যাতায়াতে সমস্যা হতে পারে এমন আশঙ্কায় শিলিগুড়ি থেকে বিকল্প মিনি বাস নেয়া হবে। তবে তিস্তার তীর ঘেঁষে পাহাড়ি বাঁক বেয়ে হুন্দাই বাসগুলো গ্যাংটক যেতে পারবে বলে জানিয়েছে বিআরটিসি সূত্র। যে কারণে তিস্তা ব্রিজ থেকে বাংলাদেশী বাসে চড়েই গ্যাংটক ঢুকবে প্রতিনিধি দল। হিসেব অনুযায়ী ঢাকা থেকে বাংলাবান্ধার দূরত্ব প্রায় ৫০০ কিলোমিটার, ঢাকা থেকে শিলিগুড়ির দূরত্ব ৫২০ কিলোমিটার। সেখান থেকে সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকের দূরত্ব আরো ১২০ কিলোমিটার। পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ের দূরত্বও প্রায় একই। এই দূরত্বে ঢাকা থেকে ট্রায়াল রানে যাওয়া বাসগুলোতে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কারিগরি টিম থাকবে।