ভ্রমণের টুকিটাকি
Tweet
ভ্রমণে
যাওয়ার আগে সবার মধ্যেই একটা উত্তেজনা কাজ করে। আর এ কারণে অনেকসময় মনের ভুলে আমরা
দুয়েকটি প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিতে ভুলে যাই। এটা শুধু যে উত্তেজনার কারণেই হয় তা নয়,
অনেক
সময় তাড়াহুড়ার কারণেও এটা হয়। তাই বিমানে ভ্রমণ করার আগে লাগেজ বা ট্রলি ব্যাগের পাশাপাশি
ব্যাকপ্যাকে যা যা নিতে একদমই ভুল করবেন না।
ধাপ ১-
বিমানে ভ্রমণের সময় অন্য ব্যাগের পাশাপাশই আপনি সাথে করে একটি ব্যাকপ্যাক নিয়ে
ভ্রমণ করতে পারবেন। আর সেই ব্যাকপ্যাকে সবার প্রথমে অতিরিক্ত একটি শার্ট ও একটি
প্যান্ট নেবেন। ভ্রমণ পথে আপনার গায়ের জামা যদি কোন কারনে নষ্ট হয়ে যায়, তখন এই
অতিরিক্ত জামা আপনি পরে নিতে পারবেন।
ধাপ ২-
ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি এডমিনিস্ট্রেশনের নিয়ম অনুযায়ী উড়োজাহাজে আপনি ৩.৪
আউন্সের বেশি তরল পানীয় বহন করতে পারবেন না। কিন্তু ব্যাকপ্যাকে একজন যাত্রী চাইলে
সর্বোচ্চ তিন আউন্স তরল পানীয় বহন করতে পারেন। তাই নিজেকে ক্ষুধামুক্ত রাখতে কিছু
শুকনা খাবার ব্যাকপ্যাকে নিতে ভুলবেন না যেন।
ধাপ ৩-
বিমানের লম্বা ভ্রমণে আপনি একটা সময় কিছুটা বিরক্ত হতে পারেন। তাই নিজেকে বিনোদন
দিতে অন্যতম সেরা মাধ্যম হতে পারে মিউজিক ডিভাইস, আইপড কিংবা সিডি প্লেয়ার। তাই
আকাশপথে ভ্রমণের সময় আপনার মোবাইল থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসগুলো
নিতে ভুলবেন না।
ধাপ ৪-
আপনি যদি আকাশপথে একা ভ্রমণে যান, তবে কোনো একটা সময় একাকীত্ব বোধ করবেন, তা
নিশ্চিত। আর আপনার একাকীত্ব দূর করতে পারে দারুণ কোনো বই বা ম্যাগাজিন। সুতরাং,
মনে করে ব্যাকপ্যাকে আপনার পছন্দের বই অথবা ম্যাগাজিন নিয়ে নেবেন।
ধাপ ৫-
উড়োজাহাজে আপনি চাইলেই কোনো খাবার কিনতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে, ক্ষুধা লাগলে কি
করবেন? এই সমস্যার সমাধান রয়েছে ব্যাকপ্যাকে। ভ্রমণে বের হওয়ার আগে ছোট একটি
বার্গার কিংবা স্যান্ডুইচ আপনি ব্যাকপ্যাকের এক কোণায় রেখে দিন। ফ্লাইট চলাকালে
এটি আপনার ক্ষুধা নিবারণ করবে।
ধাপ ৬-
পাসপোর্ট ও ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ ভ্রমণের প্রয়োজনীয় সব নথি আপনার সঙ্গে থাকা
ব্যাকপ্যাকের ভেতরে রাখুন। কারন বিমানবন্দরে কর্ত্রৃপক্ষকে এসব নথি দেখাতে হবে।
তাই সব কাগজপত্র হাতের কাছে রাখা উচিত।