টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটের ৮ পর্যটকবাহী জাহাজকে জরিমানা

Share on Facebook

কক্সবাজারের
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে চলাচলকারী পর্যটকবাহী ৮টি জাহাজকে ২ লাখ টাকা জরিমানা
করা হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে,
ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের দায়ে আদায় করা হয় এই
জরিমানা।

গতকাল সকাল সাড়ে ৯
টার দিকে টেকনাফের দমদমিয়া এলাকায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)
নৌ-বন্দর ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম। অভিযানে ছিলেন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.
আবুল মনসুর, নৌ-পুলিশের এএসআই মো. মিরাজ উদ্দিন, নৌ-বন্দরের
ট্রাফিক কর্মকর্তা জহির উদ্দিন ভূইয়া, অপারেটর মোহাম্মদ
জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র
জানায়, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন
নৌ-রুটে পর্যটকবাহী ৮টি জাহাজ চলাচল করছে। গতকাল সোমবার তারা খবর পায়, জাহাজে
অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছে। এরপর দুর্ঘটনা এড়াতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত
পরিচালনা করে। এসময় ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করায় ৮টি পর্যটকবাহী জাহাজকে
২ লাখ ১ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। তার মধ্যে, কেয়ারি
সিন্দাবাদকে ২৪ হাজার, কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ড্রাইংকে সাড়ে ৭
হাজার, গ্রীণ লাইনকে ৯০০, বে-ক্রুজকে
১২ হাজার, আটলান্টিককে ৭৫ হাজার, এমভি
ফারহানকে সাড়ে ৩৭ হাজার, এমভি পারিজাতকে সাড়ে ৩৭ হাজার, ও এমভি
দোয়েলকে সাড়ে ৩৭ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছে। পরবর্তীতে এ ধরনের কাজ না করতে সর্তকও
করা হয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে।

উপজেলা নির্বাহী
অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘টেকনাফ-সেন্টমার্টিন
নৌ-রুটে চলাচলকারী ৮টি পর্যটকবাহী জাহাজকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ধারণ
ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করায় তাদের এ জরিমানা করা হয়েছে। তিনি বলেন,
‘থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে দিন দিন পর্যটক বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য
দুর্ঘটনা এড়াতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে’।

উল্লেখ, গত ১ নভেম্বর থেকে
আগামি বছরের ৩০ মার্চ পর্যন্ত ৮টি জাহাজকে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ
রয়েছে, প্রতিদিন এসব জাহাজ অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে আসছিল।
এছাড়া পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেটও নেই তাদের।

Leave a Reply