অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবহারের সুবিধা
Tweet
১. বাইরে না গিয়ে ঘরে বসে আপনি আপনার পছন্দ মত তারিখের ও গন্তব্যের বিমান টিকিট করতে পারবেন।
২. ক্যাশ টাকা নিয়ে
ঘুরাঘুরি করার ঝামেলা থেকে মুক্ত থেকে নিরাপদে অনলাইনে টিকিট মুল্য পরিশোধ করতে
পারবেন।
৩. সব থেকে বড় সুবিধা
হল অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সিতে আপনি আপনার ইচ্ছা মত গন্তব্যে সার্চ দিয়ে সেখানকার
সমস্ত ফ্লাইটের ভাড়া, সময় ইত্যাদি সহ যাবতীয় তথ্যাদি চেক করতে পারবেন যেকোন ডিভাইস এমনকি মোবাইল
থেকেও। সার্চ দিয়ে ফ্লাইট চেক করতে আপনার কোন প্রকার টাকা পয়সা খরচ হবে না বা ওয়েব
সাইটে রেজিস্ট্রেশনও করতে হবে না। এবং এই কাজটি আপনি করতে পারবেন দিন রাত ২৪ ঘন্টা,
বছরের ৩৬৫ দিনই।
৪. বিদেশি কোন
ট্রাভেল এজেন্সির কাছ থেকে টিকিট বা হোটেল কিনলে সেক্ষেত্রে আপনাকে ক্রেডিট
কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে হবে। কিন্তু ফ্লাইট এক্সপার্টের মত ট্রাভেল
এজেন্সিতে আপনি বাংলা টাকাতেও পেমেন্ট করতে পারবেন।
৫. নিজস্ব স্বাধীনতা
একটা বড় ব্যাপার যেকোন কিছু বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে। যেমন আপনি কোন এয়ার লাইন্সে
যাবেন, কোন
ক্লাসে যাবেন ইত্যাদি সম্পূর্ণ রুপে আপনার ব্যাক্তিগত সিদ্ধান্ত।
৬. বেশিরভাগ ক্ষেত্রে
অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সিগুলো বিমান সংস্থার টিকেট মুল্য বিমান সংস্থা গুলোর নিজস্ব
ওয়েবসাইট বা অফিস থেকেও কম হয়ে থাকে। এর কারণ হল বিমান সংস্থা এবং অনলাইন ট্রাভেল
এজেন্সিগুলোর মধ্যেকার বিশেষ চুক্তি। একারনে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সিগুলো থেকে
টিকিট কিনলে তা বেশীরভাগ ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী হয়।
৭. অনলাইন ট্রাভেল
এজেন্সিগুলো অনেক সময় বিভিন্ন ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি ভিত্তিক
প্রোমোশন চালায় যাতে গ্রাহক্বৃন্দ উপকৃত হয়। যেমন কোন গ্রাহক নির্দিষ্ট কোন
ব্যাংকের কার্ড ব্যাবহার করে অনলাইনে টিকেট কিনলে একটা নির্দিষ্ট এমাউন্টের
ডিস্কাউন্ট পাবেন সেই গ্রাহক। এছাড়া ফ্রি লাউঞ্জ সহ আরো আন্যান্য সুবিধাও পাওয়া
যাবে!
৮. অনলাইনে ট্রাভেল
এজেন্সির ওয়েবসাইট এবং কাস্টমার সার্ভিস সাধারণত বিমান সংস্থাগুলো থেকে বেশ উন্নত
মানের হয়ে থাকে। একই সাথে কম প্রাইস এবং ভালো সার্ভিস মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে অনলাইন
ট্রাভেল এজেন্সি থেকে টিকিট করতে।
৯. হোটেল বুকিং এর
ক্ষেত্রে ক্যান্সেলেশন দরকার হলে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সিগুলো ভাল সাপোর্ট দিয়ে থাকে। তাই
ব্যাপারটা গ্রাহকদের জন্য অনেক সবিধা জনক হয়ে থাকে।
১০. যেকোন ধরনের
প্যাকেজ আয়োজনের ক্ষেত্রে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি গুলো দারুণ কাজ দেখায়। বড়
ট্রাভেল এজেন্সি গুলোর সাথে পৃথিবীর প্রায় সব দেশের হোটেলের চুক্তি থাকে। এজন্য কম
মুল্যে হোটেল পাওয়া যায়। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ডিস্কাউন্টও থাকে। এছাড়া অপশন
অনেক থাকার কারণে গ্রাহকরা তাদের ইচ্ছা ও সুবিধা মত মুল্যে প্যাকেজ পরিবর্তন/
পরিবর্ধন করে নিতে পারে।
১১. বড় অনলাইন
ট্রাভেল এজেন্সিগুলো ট্রাভেল EMI
এর মত সুবিধা গুলো প্রদান করতে পারে যা সাধারণত অন্য কোন এয়ারলাইন্স
বা সাধারন ট্রাভেল এজেন্সি দিতে পারে না। যেমন ফ্লাইট এক্সপার্ট বর্তমানে ৫ হাজার
টাকার উপরের যেকোন মুল্যমানের এবং যেকোন গন্তব্যের বিমান টিকিট ও হোটেলে দিচ্ছে সর্বোচ্চ
৩৬ মাসের EMI সুবিধা।
১২. এয়ারলাইন্সে ভাড়ার ব্যাপারটা সাধারন যাত্রীদের কাছে সব সময়েই একটা বিতর্কের বিষয় হয়ে দাড়ায়। এটা নিয়ে অনেকের অভিযোগের শেষ থাকেনা। অবশ্য টিকিট ক্রেতাদের অভিযোগের যথেষ্ট ভিত্তি আছে। কারন আন্তর্জাতিক বা ডোমেস্টিক, সব ধরনের বিমানের ভাড়া ক্রমাগত পরিবর্তিত হতে থাকে। এই সপ্তাহে আপনি যে ভাড়ায় কক্সবাজার বা কুয়ালালামপুর গেলেন, এর ২ সপ্তাহ পরে এই দামে বিমান টিকিট নাও পেতে পারেন। কম বেশী হতেই পারে। একটু ঝামেলার মনে হলেও এই ভাড়ার ব্যাপার গুলো এভাবেই নিয়ন্ত্রন করে থাকে বিমান সংস্থাগুলো।
এর কারন হল এয়ার
লাইন্স ইন্ডাস্ট্রিতে বহুল প্রচলিত ডায়নামিক প্রাইসিং মেথড। এই মেথড অনুযায়ি একটা
বিমানের সব আসনের ভাড়া কখনই সমান হবে না। এমন কি সব ইকোনমি ক্লাসের সিট বা বিজনেস
ক্লাসের সিটের ভাড়াও এক হবে না।