ই-পাসপোর্ট করার সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন
Tweet
ইলেকট্রনিক্স পাসপোর্টের (ই-পাসপোর্ট) যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে ই-পাসপোর্ট গ্রহণের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। ঢাকায় বসবাসকারীরা এখন ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারছেন। জুনে সারাদেশের পাসপোর্ট কার্যালয় থেকে ই-পাসপোর্ট দেয়া হবে। এ বছরের শেষ নাগাদ দেশের বাইরে ৮০টি মিশনে পৌঁছে যাবে ই-পাসপোর্ট।ই-পাসপোর্ট করার সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন-
১. প্রথমে e-passport.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলে অনলাইনে ফরম পূরণ করতে হবে।
২. আইডি খোলার সময় Given Name ফাকা না রেখে নাম দিন (যদিও এটি অপশনাল)। যেহেতু পাসপোর্টের প্রথম পাতায় Given Name উল্লেখ থাকবে। পর্যায়ক্রমে সব তথ্য দিন।
৩. অনলাইনে পেমেন্ট করতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রথম চেষ্টায়ই পেমেন্ট করতে হয়। দ্বিতীয়বার অনলাইন পেমেন্টের অপশন আর আসে না। চাইলে ব্যাংকে (ট্রাস্ট, ওয়ান অথবা অন্যান্য) গিয়েও পেমেন্ট দিতে পারবেন।
৪. অনলাইনে আবেদন সাবমিট করার পর অবশ্যই অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়া ফর্ম জমা দিতে পারবেন না। অ্যাপয়েন্টমেন্টের ই-মেইল এবং প্রিন্টেড কপি দুটোই দেখাতে হয়। যেকোনো একটি দেখাতে না পারলে ফর্ম জমা নেয়া হচ্ছে না।
৫. যারা ঢাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন তাদের শুধু বিলের কপি দিয়ে কাজ হবে না। বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্র দেখাতে হবে। অথবা অন্য কোনো ফটো আইডি কার্ড দেখাতে হবে, যেখানে আপনার বর্তমান ঠিকানা দেয়া আছে।
৬. অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। না হলে জমা নেয়া হবে না।
৭. যারা রি-ইস্যু করবেন এবং মেয়াদ আগেই শেষ হয়ে গেছে তাদের জরিমানা ফি ব্যাংকে জমা দিয়ে আসতে হবে।
৮. যদি নতুন আবেদনকারী হোন, সে ক্ষেত্রে অনলাইনে আবেদন করার সময় কোন তথ্য পূরণ করতে ভুল হলে ফাইনাল সাবমিশনের সময় সঠিক করে নিতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে ছবি তোলার সময় বলে দিতে হবে।
৯. সব সম্পন্ন হওয়ার পর ই-মেইল পাবেন, ‘আপনি অ্যাপয়েন্টমেন্ট ডেট মিস করেছেন। নতুন করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট ডেট নিন।’ এতে ভয়ের কিছু নেই। এটা সিস্টেমের সমস্যা।