বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোষ্টে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি
Tweet
চীনে করোনা ভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করায় বেনাপোল স্থলবন্দর, কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনের সার্বিক সহযোগীতায় আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে সকাল থেকে সর্বোচ্চ সতর্কবস্থা জারি করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
ভারত হয়ে যে সকল বিদেশী পর্যটক বাংলাদেশ প্রবেশ করছে তাদের চেকপোস্ট স্বাস্থ্য বিভাগ অত্যন্ত সতর্কতার সাথে স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখছেন। কয়েক সপ্তাহ ধরে শুধু মাত্র দেশী-বিদেশী যাত্রীদের পরীক্ষা করা হলেও ৫ ফেব্রæয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। ভারত বা মহারাষ্ট্র থেকে আসা সকল ট্রাক ড্রইভার ও হেলপারদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা। তবে বেনাপোল চেকপোস্টে থার্মার স্কানার মেশিনটি সচল থাকলেও তার মনিটরটি অচল থাকায় হ্যান্ড থার্মাল ডিকেক্টর দিয়ে পরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছে। যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এখানে ৪ টি মেডিকেল টিম কাজ করছেন। কোন যাত্রীর ঠান্ডা কাশি বা গায়ে অতিরিক্ত তাপমাত্রা আছে কিনা সেটা পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত কোন যাত্রীর শরীরে করোনা ভাইরাসের কোন লক্ষণ পাওয়া যায়নি। বেনাপোল একটি আন্তজার্তিক চেকপোস্ট। এ চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ হাজার দেশী-বিদেশী পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত করে ভারতে।
করোনা ভাইরাসের জীবাণু যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য গত ১৭ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশী এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানান মেডিকেল অফিসার ডাক্তার বিচিত্র মল্লিক। বেনাপোল চেকপোস্টে ভারতীয় ড্রাইভার-হেলপার, অন্যান্য দেশ থেকে ভারত হয়ে আসা প্রায় ৭০ হাজার জনকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ভারতীয় ড্রাইভার-হেলপার ও পাসপোর্ট যাত্রী রয়েছে প্রায় ৮ হাজার জন এবং অন্যান্য দেশের রয়েছে ২৩৫ জন ও বাকিরা বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাত্রী। কোন যাত্রীর শরীরে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া গেলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।
বেনাপোল চেকপোস্টে কর্তব্যরত কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আব্দুল মজিদ বলেন, চীনে করোনা ভাইরাস দেখা দেওয়ায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেশের সকল ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে চিঠি জারী করেছে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য। বেনাপোল চেকপোস্টেও সেই সতর্কতা পালন করা হচ্ছে। পাসেপার্ট যাত্রীদের পাশপাশি ভারত থেকে আসা সকল যাত্রী ও ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপারদের ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।বেনাপোল পোর্ট পরিচালক (ট্রাফিক/অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত) আব্দুল জলিল জানান, আমাদের সকলকে করোনা ভাইরাসে উদ্বিগ্ন না সচেতন হতে হবে। বাংলাদেশ সরকার সরকার সঠিক সময়ে পদক্ষেপ নেওয়ায় তিনি ধন্যবাদ জানান। বেনাপোল স্থলবন্দরে ৪ টি মেডিকেল টিম সার্বোক্ষনিক দায়িত্ব পালন করেছেন বলে তিনি জানান।