জাপানিরা গাইলেন ‘চলো উড়ে বেড়াই ডানা মেলে’ গানটি
Tweet
জুলাইয়ে জাপানের টোকিও শহরে অনুষ্ঠিতব্য গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের প্রচারনা উপলক্ষে
জাপানি দুই শিল্পীর মুখে পরিষ্কার বাংলা শুনা গেলো ‘চলো উড়ে বেড়াই ডানা মেলে…। ওই দূর আকাশে, বিশাল বিশ্বের মাঝে।’ গানটা একে তো দুই বিদেশির মুখে বাংলা গান তার ওপর ভ্রমণের ওপর তাই বাঙ্গালী দর্শক শ্রোতারা দারুন উপভোগ করছে। মায়ে ওয়াতানাবে ও সুনস্ক মিজ্তানি নামে ওই দুই জাপানি শিল্পী পরিস্কার বাংলায় এতো সুন্দর করে গেয়ে শুনান ওই গানটি। এতে সবাই বরং একটু অবাক হয়েছেন।
আসল উপলক্ষ যাই হোক এই বাংলা গানের ভিডিও যে- যেখান দেখেছে উপস্থিত শ্রোতারা সবাই মোহিত হয়েছে। বাংলাদেশকে নিয়ে এমন একটি ভিডিও চিত্র বানানোর অভিজ্ঞতাটা দারুণ ছিল দুই জাপানি শিল্পীর।
আগামী জুলাইয়ে জাপানের টোকিও শহরে হবে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক। এই অলিম্পিক সামনে রেখে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) বিভিন্ন দেশে প্রচার চালাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় দুই জাপানি শিল্পী গেয়েছেন গানটা। দুজনই বাংলাদেশে আছেন সাত বছর ধরে। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির পাশাপাশি তৈরি করেছেন ব্যান্ডদল বাজনা বিট। বাংলা ভাষায় গানটি তৈরি করতে পেরে সে কি উচ্ছ্বাস দুই শিল্পীর। মূলত আগামী অলিম্পিক ও প্যারা অলিম্পিকের প্রচারণার সমর্থন সংগীত।
বাজনা বিটের চমৎকার মিউজিক ভিডিও তৈরি হয়েছে দেশসেরা তিরন্দাজ রোমান সানা, ইতি খাতুন, অসীম কুমার, সাঁতারু মাহফিজুর রহমান, সোনিয়া আক্তার, অ্যাথলেট আল আমিন, শুটার আবদুল্লাহ হেল বাকি, শাকিল আহমেদ, সৈয়দা আতকিয়া হাসান দিশাদের নিয়ে।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম, মিরপুর সুইমিং কমপ্লেক্স, টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়াম, গুলশান শুটিং কমপ্লেক্স, বিকেএসপিসহ রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় এই গানের দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে।
এ বছর টোকিও অলিম্পিকে সরাসরি খেলার ছাড়পত্র পেয়েছেন দেশসেরা তিরন্দাজ রোমান সানা। এমন একটি ভিডিও চিত্রের অংশ হতে পেরে গর্বিত রোমান। তিনি বলেন, ‘আমাকে যখন দুই জাপানি শিল্পী এসে প্রস্তাবটা দেন, আমি এক কথাতেই রাজি হয়ে যাই। অলিম্পিকে যাওয়ার আগেই অলিম্পিকের প্রচারে অংশ নিচ্ছি—এটা ভাবতেই ভালো লাগছে।’
গত এসএ গেমসে লং জাম্পে ব্রোঞ্জ জেতেন আল আমিন। মিউজিক ভিডিওতে অংশ নিয়ে উচ্ছ্বসিত নৌবাহিনীর এই অ্যাথলেট, ‘প্রথমবার এমন একটি ভিডিও চিত্রে অংশ নিয়ে খুব ভালো লেগেছে।’
বাংলাদেশকে নিয়ে এমন একটি ভিডিও চিত্র বানানোর অভিজ্ঞতাটা দারুণ ছিল দুই জাপানি শিল্পীর। মায়ে ওয়াতানাবে এটাকে দেখছেন বাংলাদেশ ও জাপানের সেতুবন্ধ হিসেবে, ‘জাপানে অলিম্পিকের মতো বড় আসর হবে, সেখানে বাংলাদেশ থেকে অ্যাথলেট যাবে। অনেক বাঙালি দর্শক যাবেন খেলা দেখতে। তার আগে গানটি বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে ভালোবাসার একটা সেতুবন্ধ তৈরি করবে। জাপানিরা অলিম্পিকে বাংলাদেশিদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। আমি চাই, এবার বাংলাদেশ যেন জাপান থেকে একটি পদক জিতে আসে।’ বলেন তিনি।
বাংলাতে টোকিও অলিম্পিকের প্রচারণায় মেতেছেন জাপানিরা। অলিম্পিকে বাংলাদেশের প্রথম পদক যদি আসে, তাহলে তো সোনায় সোহাগা হবে!