কোয়ারান্টাইনের জন্য বিনামূল্যে রিসোর্ট দেয়ার প্রস্তাব মালিকের
Tweet
সমগ্র বিশ্ব এই মুহূর্তে করোনা ভাইরাসের সাথে লড়াই করছে । ইউরোপ-আমেরিকার মতো আধুনিক রাষ্ট্রগুলো কোভিড-১৯ এর সাথে লড়াই করতে হিমশিম খাচ্ছে। সেখানে আমাদের দেশে তো সীমাবদ্ধতার শেষ নেই। আর তার মধ্যে সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হচ্ছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে এগিয়ে এসেছেন দেশের খ্যাতনামা ব্যবসায়ী ড. যশোদা জীবন দেবনাথ।
দেশের প্রধান সারির
এই ব্যবসায়ী তার রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট লি: রিসোর্টটির শতাধিক কামড়াকে
বিনামূল্যে কোয়ারান্টাইন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য সরকারকে
প্রস্তাব দিয়েছেন, যা এই ক্রান্তিলগ্নে অনেক বড় এক উদ্যোগ। সরকার
যখন কোয়ারান্টাইন সেন্টারের অভাবে বিদেশফেরতদের রাখতে পারছেন না তখন এগিয়ে
এলেন বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক লিঃ ও শ্যামপুর সুগার মিলের ডিরেক্টর এবং
প্রটেকশন ওয়ান প্রাঃ লিঃ এর চেয়ারম্যান ড. যশোদা জীবন দেবনাথ। মাননীয়
প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যমে তার এই প্রস্তাব নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন।
স্ট্যাটাসটি :
‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি-
গাজীপুরে আমাদের রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট লি: নামে একটি রিসোর্ট আছে, সেখানে
১০০ টির ওপরে সুসজ্জিত রুম আছে। সরকার যদি ইচ্ছা পোষণ করেন, বিনা মূল্যে
আমরা কোয়ারান্টাইন সেন্টারের জন্য রিসোর্টটি দিতে প্রস্তত।’
গাজীপুরের
রাজেন্দ্রপুর রিসোর্ট এন্ড ভিলেজ একটি ইকো রিসোর্ট, যেটি তৈরি হয় ২০০৯
সালে। এটির অবস্থান গাজীপুর জেলার রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে ৮
কিলোমিটার দূরে শালবনের ভেতরে। প্রায় ৮০ বিঘা জমি নিয়ে যৌথ মালিকানায় গড়ে
তোলা হয়েছে রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট। বনের স্বাভাবিক সৌন্দর্য্যকে অক্ষুন্ন
রাখতে এখানে পরিকল্পিতভাবে আরো বনায়ন করা হয়েছে। রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্টে ৫৭
টি কটেজের মধ্যে ১৪টি ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে, যাতে মোট ১০০টির অধিক সুসজ্জিত
রুম আছে।
এছাড়াও রয়েছে বেশ কয়েকটি মাটির ঘর। এখানে আগত অতিথিরা
চাইলে রিসোর্টের লেকে মাছ ধরা, নৌকা ও সাইকেল চালানো কিংবা শাক-সবজি ও
ফার্ম ঘুরে দেখতে পারেন। রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্টে আরো রয়েছে একটি সুইমিং পুল
ও ক্যাফেটেরিয়া। রয়েছে ২০০ লোক ধারন ক্ষমতার মিলনায়তন। মানবসৃষ্ট কাঠামো ও
প্রাকৃতিক পরিবেশের এক অপরুপ মেলবন্ধন রয়েছে রাজেন্দ্রপুর রিসোর্ট এন্ড
ভিলেজে।
কোভিড-১৯-এর
আতঙ্কে দেশবাসী যখন ভীত, তখন তাঁর এই মননশীল চিন্তাভাবনা এবং সিদ্ধান্ত
সবাইকে তথা দেশবাসীকে অনুপ্রানিত করবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁকে
অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। এর আগে পূর্বাচলে সরকারের কোয়ারেন্টাইন
সেন্টার করার উদ্যোগে স্থানীয় এলাকাবাসী বিক্ষোভ করে। পরে সরকার সে
সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। আর এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে ড. যশোদা জীবন দেবনাথ
এগিয়ে এলেন। তার মতো সব ব্যবসায়ী, শিল্পপতি তথা বিত্তবান মানুষেরা এগিয়ে
আসে তাহলে এই সংকট আমরা উতরে যেতে পারব।