হাসপাতালের বিল দিতে না পারা এক কোলের শিশুকে পুলিশ ফিরিয়ে দিল তার মায়ের কাছে
Tweet
হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে না পেরে গাজীপুরের কোনাবাড়িতে বিক্রি করে দেওয়া সন্তানকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে নবজাতককে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত
হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে না পেরে গাজীপুরের কোনাবাড়িতে বিক্রি করে দেওয়া সন্তানকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে নবজাতককে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত
হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে না পেরে সন্তানকে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন মা–বাবা। গতকাল শুক্রবার গাজীপুরের কোনাবাড়ি সেন্টাল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ সেই নবজাতককে উদ্ধার করে মা–বাবার কোলে ফিরিয়ে দেয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, গাজীপুরের এনায়েতপুর এলাকার বাসিন্দা শরিফ হোসেন তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী কেয়া খাতুনকে গত ২১ এপ্রিল কোনাবাড়ি সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করেন। অস্ত্রোপচারে ছেলেসন্তান হয়। প্রায় ১১ দিন হাসপাতালে ভর্তি রাখে কর্তৃপক্ষ। এতে তাদের মোট বিল আসে ৪২ হাজার টাকা। বিল দিতে না পারায় তাঁদের হাসপাতাল থেকে বের হতে দেওয়া হয়নি। পরে বাধ্য হয়ে তাঁরা নবজাতক সন্তানকে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। সন্তানকে হাসপাতালে রেখে গতকাল দুপুরের পর বাড়ি ফিরে যান এই দম্পতি। সন্তান বিক্রির খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। খবর যায় পুলিশের কাছেও। পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এসবি) শহিদুল ইসলাম বিষয়টি গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে জানান। গাজীপুরের পুলিশ কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন ২৫ হাজার টাকা ফিরিয়ে দিয়ে নবজাতককে ফিরিয়ে আনেন। পরে শরিফ-কেয়ার কোলে সন্তানকে ফিরিয়ে দেন।
নবজাতকের বাবা মো. শরিফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তিনি স্ত্রী কেয়া খাতুনকে নিয়ে কাশিমপুর কারাগারের দক্ষিণ পাশে এনায়েতপুর এলাকায় ভাড়া থাকেন। তাঁরা পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। পুলিশ খবর পেয়ে তাঁদের সন্তানকে তাঁদের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছে। সন্তানকে ফেরত পেয়ে তাঁরা খুশি। জানালেন, সন্তানের নাম রেখেছেন মো. রাব্বী।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, টাকার অভাবে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে পারছিলেন না ওই দম্পতি। পরে তাঁরা বাধ্য হয়ে সন্তানকে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। সেই টাকা দিয়ে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করেন। যাদের কাছে নবজাতককে বিক্রি করা হয়েছিল, তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। নবজাতককে মা–বাবার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।