একসঙ্গে ২৫ শতাংশের বেশি কর্মকর্তার অফিসে থাকায় মানা
Tweet
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে লকডাউন তুলে অফিস খুলে দেওয়া হলেও স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে সরকারি দপ্তরগুলোতে একসঙ্গে ২৫ শতাংশের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অফিসে অবস্থান করতে নিষেধ করা হচ্ছে। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গতকাল সোমবার বলেন, ‘কর্মকর্তারা যেন কোনোভাবেই সংক্রমিত না হন, সেটি আমাদের প্রথম লক্ষ্য। সেজন্য ন্যূনতম সংখ্যক কর্মকর্তা নিয়ে আমরা প্রয়োজনীয় কাজগুলো করব। ‘সেজন্য আমরা চাই একসাথে ২৫ শতাংশের বেশি কর্মকর্তা কখনোই অফিসে থাকবেন না। ২৫ শতাংশ কর্মকর্তা ঘরে বসে ভার্চুয়ালি অফিস করতে পারবেন। তার মানে হল একসঙ্গে ৫০ শতাংশ কর্মকর্তা সব সময়ই কানেকটেড থাকছেন।’
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে চলা লকডাউন ওঠার হওয়ার পর রোববার থেকে অফিস খোলার পাশাপাশি যানবাহন চলাচালের অনুমতি দেয় সরকার। এতদিন কেবল জরুরি দপ্তরের কর্মীরা অফিস করলেও রোববার থেকে সব সরকারি অফিসেই ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে’ কাজ শুরুর ব্যবস্থা হয়। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, সকাল ৯টায় অফিসে এসে কেউ যদি দুই ঘণ্টায় কাজ শেষ করতে পারেন, তাহলে কাজ শেষেই তিনি চলে যাবেন। বিকাল ৫টায় অফিস ছুটির জন্য তাকে অপেক্ষা করতে হবে না। কেউ বেলা ১১টায় অফিস থেকে চলে গেলে ওই দপ্তরে তার জায়গায় অন্য কেউ অফিসে আসতে পাববেন।
অফিসে কোনো কারণে যদি ২৫ শতাংশের বেশি কর্মকর্তার উপস্থিতির প্রয়োজন হয়, তাহলে কী করতে হবে সেই নির্দেশনাও দিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।‘যদি আরও বেশি কর্মকর্তার অফিসে উপস্থিতির প্রয়োজন হয়, তাহলে সকাল ৯টায় যারা অফিসে আসবেন তারা কাজ শেষে চলে যাওয়ার পর অন্যরা অফিসে আসতে পারবেন।’ গত রোববার ও গতকাল সোমবার এই দুই দিনের সীমিত পরিসরের অফিস করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ফরহাদ বলেন, অনেক কর্মকর্তা ‘অযথাই’ অফিসে চলে আসছেন। সেক্ষেত্রে সবার জন্যই ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। ‘মহামারী চলছে, যথষ্ট সতকর্তা অবলম্বন করে আমাদের কাজ করতে হবে। আমরা চাই না কোনো কর্মকর্তা অপ্রয়োজনে অফিসে আসুক। কর্মকর্তাদের সুরক্ষার জন্য আমরা এই ব্যবস্থা করতে চাচ্ছি। একসাথে আমরা ২৫ শতাংশের বেশি মানুষ কর্মস্থলে রাখতে চাচ্ছি না। যারা অসুস্থ তারা একেবারেই অফিসে আসবেন না।’