বিমান কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের ভিত্তিতে শ্রমিকদের কর্মবিরতি স্থগিত
Tweet
চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে আজ রবিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে কর্মবিরতিতে ছিলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ক্যাজুয়াল (অস্থায়ী) শ্রমিকরা। পরবর্তীতে বিমান কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের ভিত্তিতে বিকাল ৩টার দিকে কর্মসূচি স্থগিত করেছেন আন্দোলনরত শ্রমিকেরা।
একের পর এক শিডিউল বিপর্যয়ের মুখে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ এম মোসাদ্দিক আহমেদ শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করে কর্মবিরতির অবসান ঘটান। তিনি শ্রমিকদেরকে আশ্বাস দেন ‘আমরা সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি। আগামী বোর্ড মিটিংয়ে ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের স্থায়ী করার বিষয়টি উত্থাপন করা হবে।’
বিমান শ্রমিক লীগের সভাপতি মশিকুর রহমান বলেন, ‘আগামী বোর্ড মিটিংয়ে যদি দাবি না আদায় হয়, তবে আমরা আবার কর্মবিরতিতে যাবো।’
সুত্র জানায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের সব বিমানবন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সার্ভিস দেয়। এবং বেশিরভাগ ক্যাজুয়াল শ্রমিক গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সার্ভিসে কাজ করে। ফলে তারা কর্মবিরতি দিয়ে আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় ফ্লাইট শিডিউল বিপর্যয় ঘটে।
জানা যায়, আজ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সিঙ্গাপুরগামী বিজি-০৮৪ ফ্লাইটটি সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও, সেটি সকাল ৯টা ৪ মিনিটে ঢাকা ছেড়ে যায়। ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের কুয়ালালামপুরগামী বিএস-৩১৫ ফ্লাইটটি সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ২০ মিনিট বিলম্বে ছেড়ে যায় ৯টা ১০ মিনিটে।
এয়ার এরাবিয়ার শারজাহগামী জি-৯৫১৮ ফ্লাইটটি সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি ছেড়ে যায় সকাল ১০টায়। এমিরেটস এয়ারলাইন্সের দুবাইগামী ইকে-৫৮৩ ফ্লাইটটি ১০টা ১৫ মিনিটে ছাড়ার করা থাকলেও সেটা ১১টা ৩২ মিনিটে ছেড়ে যায়। এছাড়াও অন্যান্য এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটগুলোও নির্ধারিত সময়ে শাহজালাল বিমান বন্দর থেকে উড্ডয়ন করতে পারে নাই।
বিমানের ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট সংকট থেকে ফ্লাইট শিডিউল ঠিক রাখতে সিভিল এভিয়েশন নিজস্ব জনবল দিয়ে সাধ্যমতো কাজ চালিয়েছে। এ প্রসঙ্গে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, ‘বিমানের লোকজন কর্মবিরতি পালন করায় আমরা সিভিল এভিয়েশনের লোকবল দ্বারা কাজ চালিয়েছি। আনসার, এভসেক সদস্যদের দিয়ে ফ্লাইটের কাজ করানো হয়েছে, যাতে যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে না হয়।’ এছাড়াও পুলিশ সদস্যরাও গ্রাউন্ড সার্ভিসের কাজে সহযোগিতা করেছেন।
উল্লেখ্য গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের সভায় বিমানের ৭০০ ক্যাজুয়াল পে গ্রুপ (৩১) ও (৩২) তৃতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা চাকরি স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেখানে ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের (পে-গ্রুপ ১) ১৮০০ জনের চাকরি স্থায়ী করার কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।