বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি : নারী-শিশুসহ ৩০ জনের লাশ উদ্ধার
Tweet
রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীতে একটি যাত্রাবাহী লঞ্চ ডুবির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩০ জনের মরদেহ উদ্বার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল । এদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ,৮ জন মহিলা ও ৩ জন শিশু রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি। উদ্বার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়। গতকাল সোমবার দুপুর সোয়া ১ টার দিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দফতরের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার বাসসকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এদিকে, বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ।
তিনি জানান, গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফরাশগঞ্জ-শ্যামবাজার লঞ্চ ঘাটে কুমিল্লা ডক এরিয়ার পাশে লঞ্চটি ডুবে যায়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা আরও জানান, সকালে মুন্সীগঞ্জের কাঁঠপট্টি এলাকা থেকে ৫০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার সদরঘাটের উদ্দেশে মনিং বার্ড নামের লঞ্জটি ছেড়ে আসে। লঞ্চটি ফরাশগঞ্জ ঘাটে এসে পৌঁছালে পেছন দিক থেকে ঢাকা-চাঁদপুর রুটের ময়ূর-২ নামে অপর একটি লঞ্চ ধাক্কা দিলে মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়। এসময় লঞ্চটির কয়েকজন যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠলেও অধিকাংশ যাত্রী ডুবে যায়। এ পর্যন্ত ২৮ জনের মরদেহ উদ্বার করা সম্ভব হলেও এখনও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের উদ্ধার অভিযান চলছে।
এদিকে, লঞ্চডুবির ঘটনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। মন্ত্রণালয় আজ সোমবার এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করেছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন) মো: রফিকুল ইসলাম খানকে আহবায়ক এবং বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা) মো: রফিকুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- নৌপরিবহন অধিদফতরের চিফ নটিক্যাল সার্ভেয়ার ক্যাপ্টেন জসিম উদ্দিন সরকার,
বিআইডব্লিউটিসি’র প্রধান প্রকৌশলী, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের নেভাল আর্কিটেকচার এ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পর্যায়ের একজন প্রতিনিধি, ফায়ার সার্ভিস অধিদফতরের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি, নৌপুলিশের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি । কমিটি আগামী সাত দিনের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করবে। কমিটি দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটন, দুর্ঘটনার জন্য দায়ি ব্যক্তি/সংস্থাকে সনাক্তকরণ এবং দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় উল্লেখ করে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ প্রদান করবে।