একটি ভবিষ্যৎ পর্যটন গ্রামের রূপকল্প
Tweet
জাতিসঙ্ঘ বিশ্ব পর্যটন সংস্থা ২০৩০ সালে পৃথিবীর পর্যটন কীরূপ হবে তার একটি আগাম চিত্র উপস্থাপন করেছে। ঐ সময়ে ইউরোপের দেশগুলি থেকে সবচেয়ে বেশি পর্যটক ভ্রমণ করবে এবং এশিয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলিতে আগত পর্যটকদের আধিক্য পরিলক্ষিত হবে। অবসর, বিনোদন ও ছুটি কাটাতে আসবে সবচেয়ে বেশি পর্যটক। তাতে পৃথিবীর অর্থনীতি এক নতুন মাত্রা নিয়ে বিকশিত হবে। আগামী দিনের এই চিত্র থেকে আমাদের দেশের একটি ইউনিয়নের পর্যটন কীরূপ হতে পারে, তারএকটি রূপকল্প নিচে উপস্থাপন করা হল:
২০৩০ সাল।
বাংলাদেশে আগত বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি। এদের অধিকাংশই মানুষ, সংস্কৃতি ও প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করার জন্য আসে। বড় একটি অংশ চলে যায় গ্রামে। কৃষি, জীবনযাত্রা, লোকজ আচার এবং প্রাকৃতিক নানান উপাদান দেখে বিশ্রাম নেয় ও বিনোদন করে। ঐ সময়কার একটি গন্তব্যের নাম পর্যটন গুচ্ছগ্রাম (Tourism Cluster Village) বারবাড়িয়া। ১৩টি গ্রাম নিয়ে গঠিত এই ইউনিয়ন। ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলায় অবস্থিত। ঢাকা থেকে ট্যুরিস্ট ট্রেনে মাত্র আড়াই ঘন্টায় পৌঁছা যায় গন্তব্যে। ইউনেস্কো কর্তৃক চিহ্নিত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যসমূহকে ভাগ করে গড়ে তোলা হয়েছে ১৩টি গ্রামকে। একেকটি গ্রামকে সাজানো হয়েছে একেকটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য দিয়ে।প্রথম গ্রামে রয়েছে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থাপনাসমূহের বেশ কিছু রেপ্লিকা, দ্বিতীয় গ্রামে স্থানীয় সকল খাবার পাওয়া যায়, তৃতীয় গ্রামে প্রাকৃতিক চিরায়ত সৌন্দর্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে, চতুর্থ গ্রামে রয়েছে লোক জাদুঘর ও লোকজ নানান উপাদানের নানান সংগ্রহ, পঞ্চম গ্রামে স্থানান্তরযোগ্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যসমূহ স্থাপন করা হয়েছে, ষষ্ঠ গ্রামে রয়েছে স্থানীয় হস্তশিল্প, সপ্তম গ্রামে লোকজ ও চিরায়ত চিকিৎসা ব্যবস্থার উৎকর্ষ সাধন করা হয়েছে, অষ্টম গ্রামকে উৎসব উপাদান দিয়ে সাজানো হয়েছে, নবম গ্রামে লোকজ সঙ্গীত ও কলা পরিবেশনার আয়োজন রয়েছে, দশম গ্রামে দেশের উল্লেখযোগ্য সাহিত্য সংগ্রহ রয়েছে, একাদশ গ্রামে বাংলাদেশের সকল আঞ্চলিক ভাষাভাষী মানুষকে এনে রাখা হয়েছে, দ্বাদশ গ্রামে প্রধান প্রধান নৃগোষ্ঠীকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে পর্যটকদেও জন্য এবং ত্রয়োদশ গ্রামে গ্রামীণ খেলাধুলার ব্যবস্থা রয়েছে। হোমস্টে এবং পার্শ্ববর্তী ব্রহ্মপুত্র নদে ভাসমান নৌকায় রাত্রিযাপনের মনোরম ব্যবস্থা আছে।
পর্যটনের এই গুচ্ছগ্রামটি বাংলাদেশের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রাম বলে সুখ্যাতি অর্জন করেছে। ফলে প্রবেশমূল্য দিয়ে এখানে প্রবেশ করতে হয়। প্রবেশ দ্বারেই রয়েছে পর্যটকদের সাধারণ স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা, যেন সংক্রমিত রোগাক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রবেশ করে গ্রামের মানুষ ও অন্যান্য পর্যটকদেরস্বাস্থ্যহানি করতে না পারেন। প্রবেশপথে তাদেরকে স্বাগত জানিয়ে পান করতে দেওয়া হয় ঋতুভিত্তিক ফলের সরবত। তারপর পর্যটকদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় পর্যটন গুচ্ছগ্রামের মহারাজার বাড়িতে। এখানে ধান-দূর্বা দিয়ে ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন রীতিতে ‘অতিথিবরণ’ করা হয়। সাধারণ আপ্যায়ন শেষে পর্যটকদেরকে হাজির করা হয় রাজদরবারে। মহারাজ স্বাগত জানিয়ে তার রাজত্ব অর্থাৎ পর্যটন গুচ্ছগ্রামের একটি বিবরণ তুলে ধরেন।
অতপর পর্যটকরা অযান্ত্রিক যানে চড়ে প্রবেশ করেন প্রথম গ্রামে। সেখানেরয়েছে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থাপনাসমূহের বেশ কিছু রেপ্লিকা। জাতীয় স্মৃতিসৌধ, শহীদ মিনার, অপরাজেয় বাংলা ইত্যাদিতৈরি করা হয়েছে মিনিয়েচার বাংলাদেশ। গ্রামের প্রত্যেকটি রাস্তা ফল-ফুল-ঔষধি গাছে সুশোভিত, এসব লাগিয়েছেন পর্যটকরা তাদের নিজ ইচ্ছায়। পর্যটকদেরকে স্থানীয় ট্যুরিস্ট গাইডরা গ্রামের মানুষের পক্ষে গাছ লাগানের জন্য অনুরোধ করে। তাতে ইচ্ছুক পর্যটকরা পছন্দমতো গাছ লাগান, তবে এদের লালন-পালন ও রক্ষণাবেক্ষণের পুরো দায়িত্ব পালন করে এখানকার পর্যটন ব্যবস্থাপনা কমিটি। কমিটির উদ্যোগে বিভিন্ন গ্রামে ৩টি বড় বড় নার্সারি স্থাপন করা হয়েছে ফল, ফুল ও ঔষধি গাছের। পর্যটকরা তাদের সাধ্যমত ১টি থেকে ৫টি পর্যন্ত গাছ লাগায়। প্রতিটি গাছে রয়েছে পর্যটকদের নামের প্লেট। দেখতে দারুণ লাগে।
দ্বিতীয় গ্রামটিতে পাওয়া যায় সকলস্থানীয় খাবার। ভাত, মাছ, মাংস, ডাল, বুনো শাকসব্জি থেকে পিঠা, পুলি, পায়েস এমনকি আচার ও প্রাচীন প্রক্রিয়াজাত খাবারও এখানে সহজপ্রাপ্য। সকল ফল-মূল ও শস্য জৈবকৃষি পদ্ধতিতে চাষকৃত নিরাপদ খাদ্য এখানকার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। লোকজ রীতিতে রান্না করছেন স্থানীয় মানুষেরা, পরিবেশনাও তারাই করছেন। তবে পরিচ্ছন্নতা ও হাইজিনকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। একজন পর্যটক খাদ্য গ্রহণের পাশাপাশি চাইলে বাড়ির জন্য কিনেও নিতে পারেন।
তৃতীয় গ্রামটিতে প্রাকৃতিক চিরায়ত সৌন্দর্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে। পর্যটকরা এ গ্রামে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে সবুজ ও দৃষ্টিনন্দন গাছপালা, পরিপাটি বাড়িঘর, পরিচ্ছন্ন রাস্তাঘাট। আগেই বলেছি, এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রাম। গ্রামের কিছু অংশে জঙ্গলও চোখে পড়বে। পাখি, প্রজাপতি, পুকুরভরা মাছ ইত্যাদি সবই এই গ্রামের গর্র্ব। এই গ্রামে একটি গ্রামীণ ডিপার্টমেন্টাল স্টোর আছে। পুরো গুচ্ছগ্রাম জুড়ে যা কিছু উৎপাদিত হয়, তার সবই এখানে কিনতে পাওয়া যায়। লোকে লাইন ধরে কেনে। বিক্রেতা সবাই স্থানীয় এবং পর্যটন গ্রাম ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতৃত্বে এটি পরিচালিত হয়।
চতুর্থ গ্রামে রয়েছে লোক জাদুঘর ও লোকজ নানান উপাদানের সংগ্রহ। এই এলাকার মানুষের গৃহস্থালিকাজে ব্যবহার্য দ্রব্য সামগ্রী, পোষাক-পরিচ্ছদ, কৃষি উপকরণ ও যন্ত্রপাতি, আত্মরক্ষার অস্ত্র ও জীবনাচারের জড়িত বহুবিদ উপকরণ ইত্যাদি। এই গ্রামে আরও রয়েছে কটি Early Childhood Development (ECD) School বা প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়।এই স্কুলে ৪ বছর বয়সী ছেলে-মেয়েরা ভর্তি হয় এবং ২ বছর শেষে অর্থাৎ ৬ বছর বয়সে বেরিয়ে যায়। একটি সুনির্দিষ্ট পাঠ্যক্রম মেনে শিক্ষকরা অত্যন্ত যত্নসহকারে পড়ায়। এই ২ বছরের মধ্যে শিশুকে বুদ্ধিবলে বাঁচতে শেখায়। শিশুরা যে বুদ্ধিমান হয়ে উঠছে, তা স্কুল পরিদর্শন করলেই বুঝা যায়।
স্থানান্তরযোগ্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যসমূহ যেমন ঢেঁকি, সরিষা ভাঙ্গানোর ঘাঁনি, কুমার কর্তৃক মাটির নানা ধরণের পাত্র ও কামারের দা, কাস্তে, শাবল ইত্যাদি কর্মায়োজন, মাছ ধরার জাল বুনা, বাঁশের চাটাই ও ডুলি তৈরি, মাছ ধরার বানা ও চাঁই বা বাইড় স্থাপন করা হয়েছে পঞ্চম গ্রামে। ভ্রমণকালে এগুলো কিনেও নেয়া যায় এবং প্রস্তুতকারীদের সাথে নির্মাণ কৌশল নিয়ে আলোচনা করা যায়। সব প্রস্তুতকারীই এই গ্রামের।
ষষ্ঠ গ্রামে রয়েছে স্থানীয় হস্তশিল্প। ঐতিহ্যবাহী পোষাক, শাড়ি, বাঁশ ও বেতের সামগ্রী যেমন- চেয়ার, টেবিল, খাট, লাঠি, টেবিল ল্যাম্প ইত্যাদি; পাটের চট, শিকা, কার্পেট, ব্যাগ, কাপড়; খড় দিয়ে তৈরি ব্যবহার্য দ্রব্যাদি; কারুকার্যখচিত কাঠের নানাবিধ উপকরণ, চামড়ার ব্যাগ, হাতে তৈরি জুতা, সেন্ডেল, সোনা, রূপা ও ব্রোঞ্জের অলংকার ও অন্যান্য সৌখিন ব্যবহার্য সামগ্রী ইত্যাদিতে ভরপুর। এসকল সামগ্রীর ধরণ, ডিজাইন ও অলংকরণ (গড়ঃরভ)সবই উঠে এসেছে লোক-জীবনের দর্শন থেকে।
এবার বলি সপ্তম গ্রামের কথা, গ্রামটিতে লোকজ ও চিরায়ত চিকিৎসা ব্যবস্থাকে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রধানত আয়ুর্বেদের নানান শাখা-প্রশাখা দিয়ে সাজানো চিকিৎসা সেবাকে। অধিকন্তু, যোগ (Yoga), প্রাণায়াম (Breathing Exercise) জলচিকিৎসা (Water Therapy ), আকুপ্রেসার,রিফ্লেক্সোলজি (Reflexology) ইত্যাদিকে গ্রহণ করা হয়েছে মানুষের চিরায়ত চিকিৎসার উপকরণ হিসেবে। এখানে পর্যটকরা তাৎক্ষণিক সেবা গ্রহণের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা সেবাও গ্রহণ করেন। শিক্ষিত ও অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য পরামর্শকগণ রয়েছেন এই গ্রামে।
অষ্টম গ্রামটি সাজানো হয়েছে উৎসব উপাদান দিয়ে। গ্রামীণ মেলা ও বার্ণি, বিয়ে, বাংলা নববর্ষ, নবান্ন, সংক্রান্তি উৎসব, ধর্মীয় উৎসব যেমন ঈদ, পুজা, বড়দিন, বৌদ্ধ পূর্ণিমা, ভাষা আন্দোলনের উপাদান, বিজয় ও স্বাধীনতা দিবসের আবহ ইত্যাদি দিয়ে গ্রামটিকে যেন মুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এখানকার মানুষের মনে আনন্দ আর ধরে না।
লোকজ সঙ্গীত ও কলা পরিবেশনার আয়োজন রয়েছে নবম গ্রামে। পল্লীগীতি, ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, মুর্শিদী, বাউল, লালনগীতি, হাসন রাজার গান, ধামাইল, জারি, সারি, কীর্তন, গম্ভীরা, শ্যামা সঙ্গীত ইত্যাদির ভরপুরআয়োজন এই গ্রামে। এছাড়াও এখানে রয়েছে স্থানীয় বাদ্যযন্ত্র যেমন-একতারা, দোতারা, সেতার, বাঁশি, হারমোনিয়াম, এস্রাজ, খমক, ঢাক, ঢোল, তবলা ইত্যাদি। মঞ্চে পরিবেশনের জন্য ঘাটুগান, ময়মনসিংহ গীতিকা থেকে মহুয়া প্রভৃতি প্রস্তুত থাকে যে কোন সময় জরুরি মঞ্চায়নের জন্য। নিয়মিত মঞ্চায়ন করা হয় মুক্তিযুদ্ধের নাটক ‘যুদ্ধপুরাণ’।
দশম গ্রামে রয়েছে দেশের উল্লেখযোগ্য সাহিত্য সংগ্রহ। চর্যাপদ থেকে শুরু করে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, পল্লীকবি জসীমউদ্দীন, শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়, বঙ্কিম চন্দ্র চট্টপাধ্যায়, মাইকেল মধুসুধন দত্ত, মীর মশাররফ হোসেন, জীবনানন্দ দাস, ডা. শেখ লুৎফর রহমান, বেগম সুফিয়া কামাল প্রমুখ ব্যক্তিবর্গের উল্লেখযোগ্য রচনাবলী রয়েছে এই গ্রামের সংগ্রহে। এ ছাড়াও আধুনিক কবি ও সাহিত্যিকদের রচনাবলীও এখানকার সংগ্রহে আছে।
ভাষা আমাদের বড় অহংকার। সকল আঞ্চলিক ভাষা সংরক্ষণ ও পর্যটকদেরকে পরিচিত করার জন্য বাংলাদেশের প্রায় সব আঞ্চলিক ভাষাভাষী মানুষকে রাখা হয়েছে একাদশতম গ্রামটিতে। ত্রিশ ধরণের ভাষাভাষী মানুষ ও তাদের স্বাগত কথোপকথনে পর্যটকরা মুগ্ধ হয় এখানে এসে।
বাংলাদেশের প্রধান প্রধান নৃ-গোষ্ঠীর জীবনযাত্রা দেখতে হলে দ্বাদশতম গ্রামে পর্যটকদেরকে আসতে হবে। গারো, ওঁড়াউ, হাজং, সাঁওতাল, খাসিয়া, মনিপুরী, চাকমা, মুরং, ত্রিপুরা, ত্যনচঙ্গা থেকে শুরু করে লুপ্তপ্রায় মুন্ডা এমনকি বেঁদে সম্প্রদায়ের সাক্ষাত মেলে এই গ্রামে। কৃত্রিমভাবে তৈরি করা এই গ্রামে রয়েছে তাদের ভাষা, খাদ্যরীতি, পোষাক-পরিচ্ছেদ, বিবাহ ও অন্যান্য সামাজিক আচরণের উপস্থাপনা অর্থাৎ নৃ-গোষ্ঠীর পরিপূর্ণ জীবনযাত্রার মিনিয়েচার বাংলাদেশ রয়েছে এই গ্রামে। বিশেষ ব্যবস্থাপনায় হিজড়াদেরকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে এই গ্রামে।
ত্রয়োদশতম অর্থাৎ শেষ গ্রামে রয়েছে গ্রামীণ খেলাধুলা। আমাদের দেশের চিরায়ত সব খেলাধুলা যেমন হাডুডু, দাড়িয়া বান্ধা, লাঠিখেলা, কুস্তি, ডাংগুলি, গোল্লাছুট, ছি বুড়ি, মার্বেল এসব খেলা থেকে শুরু করে ফুটবল, ভলিবল, বাস্কেটবল, ক্রিকেট ইত্যাদি রয়েছে এই গ্রামে। দাবা ও লুডু খেলার বোর্ড তৈরি করা হয়েছে উন্মুক্ত মাঠে।
১৩টি গ্রাম মিলে যে মিনিয়েচার সাংস্কৃতিক বাংলাদেশ তৈরি করা হয়েছে, যা ৮ কি.মি. দীর্ঘ একটি চলমান নাট্যমঞ্চ ছাড়া কিছুই নয়। একজন পর্যটক আনন্দ ও বিস্ময়ের সাথে দিনমান বেড়াবেন জীবনে এক বিরল অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য। ২০৩০ সালের এই পর্যটন গুচ্ছগ্রাম বাংলাদেশকে অন্যমাত্রায় তুলে ধরবে তাতে সন্দেহ নাই। এইরূপ একটি রূপকল্পের বাস্তবায়ন সত্যিই পর্যটকদেরকে শিহরিত করবে।
মোখলেছুর রহমান
আহ্বায়ক, সম্মিলিত পর্যটন জোট