করোনায় বাংলাদেশ থেকে সব ধরনের ফ্লাইট বন্ধ করল ইতালি
Tweet
ঢাকা থেকে যাওয়া অভিবাসীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ায় এক সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশ থেকে সব ধরনের ফ্লাইট বাতিল করেছে ইতালি সরকার।এই খবর জানিয়ে মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সোমবার বাংলাদেশ থেকে ইতালির রাজধানী রোমে যাওয়া একটি ফ্লাইটের যাত্রীদের মধ্যে ‘উল্লেখযোগ্য সংখ্যকের’ করোনাভাইরাস পজিটিভ এসেছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রাণলয় জানিয়েছে।
ফ্লাইট বন্ধের এই সময়ে ইতালি সরকার ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও শেঙ্গেন অঞ্চলের বাইরে থেকে যাওয়া সবার জন্য নতুন করে পূর্ব সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করবে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে। বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে দুই মাস বন্ধ থাকার পর গত ১৬ জুন বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হয়। পরদিন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে রোমে ফিরে যান ২৫৯ জন প্রবাসী। এরপর গত দুই সপ্তাহে হাজারখানেকের মতো প্রবাসী বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে ইতালি ফিরে গেছেন।
এর মধ্যে ইতালির রাজধানী রোম যে অঞ্চলে সেই লাৎসিও অঞ্চল কর্তৃপক্ষ প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঢালাও করোনাভাইরাস পরীক্ষা করানোর উদ্যোগ নিয়েছে। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ‘ক্লাস্টার’ সংক্রমণের ঘটনায় গত সপ্তাহে কর্তৃপক্ষ ওই সিদ্ধান্ত নেয় বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়।
সে সময় রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত কয়েক দিনে লাৎসিও অঞ্চলে নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ১০ জন বাংলাদেশি। তাদের মধ্যে সর্বশেষ শুক্রবার একজনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে, যিনি মাত্রই দেশ থেকে ফিরেছেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে যখন ইতালিতে ব্যাপকভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে সে সময় বাংলাদেশে এই রোগ পৌঁছায়নি। তখন ইতালিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে দলে দলে প্রবাসীরা ফিরতে শুরু করে।এক ভোরে ইতালি থেকে ফেরা কয়েকশ’ প্রবাসীকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখার জন্য বিমানবন্দর সংলগ্ন আশকোনা হজক্যাম্পে নেওয়ার পরও তাদের বিক্ষোভের মুখে ছেড়ে দেয় সরকার। ওই প্রবাসীদের বাসায় ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়।
এর কিছু দিন পরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ দেখা দিতে শুরু করে। পরে ইতালি অতি সংক্রামক এই রোগের বিস্তারে লাগাম পরাতে পারলেও ধুঁকছে বাংলাদেশ।গত মাসখানেকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে প্রতিদিন তিন হাজারের বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এরইমধ্যে সরকারি হিসাবে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৬৮ হাজার ছাড়িয়েছে, মৃত্যুর সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়েছে।