মহামারীর মধ্যেই ঢাকার দুই সিটিতে অস্থায়ী ১০ হাট
Tweet
কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি এবার মহামারীর মধ্যে রাজধানীতে কোরবানির পশুর হাট না বসানোর সুপারিশ করলেও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ১০টি অস্থায়ী হাট বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় পাঁচটি এবং উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় পাঁচটি হাট বসবে। এছাড়া দুই সিটি করপোরেশনের দুটি স্থায়ী হাটেও কোরবানির পশু কেনাবেচা হবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির কমলাপুর লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, আফতাবনগর ব্লক-ই, এফ, জি-এর সেকশনের ১ ও ২ নম্বর এলাকা, হাজারীবাগ লেদার টেকনোলজি কলেজ সংলগ্ন খালি জায়গা, উত্তর শাহজাহানপুর মৈত্রী সংঘের মাঠ সংলগ্ন খালি জায়গা এবং পোস্তগোলা শ্মশানঘাট সংলগ্ন খালি জায়গায় অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্যঝুঁকি উপেক্ষা করে আফতাবনগরে বসছে পশুর হাট
এই সিটির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. শামসুল আলম বলেন, ডেমরার সারুলিয়ায় একটি স্থায়ী গরুর হাট আছে। সেখানেও কোরবানির পশু বিক্রি হবে।
ঢাকা উত্তরের কাওলা-শিয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা, উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরের বৃন্দাবন থেকে উত্তর দিকে বিজিএমইএ পর্যন্ত খালি জায়গা, পূর্বাচলের বালু ব্রিজ সংলগ্ন মস্তুল ডুমনি বাজারমুখী রাস্তার উভয়পাশের খালি জায়গা, ভাটারা সাঈদনগর ও আব্দুল্লাহপুর এলাকায় বেঁড়িবাধ সংলগ্ন মৈয়নারটেক শহীদনগর এলাকায় এবার কোরবানির পশুর অস্থায়ী হাট বসবে। এছাড়া গাবতলীর স্থায়ী হাটেও কোরবানির পশু কেনাকাটা হবে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে রাজধানীর বাইরে শহরতলী এলাকায় হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
“বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাজধানীর ভেতরে কোনো কোরবানির পশুর হাট না বসাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশ রয়েছে। সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে আমরা শহরতলী এলাকায় হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
এর আগে রাজধানীতে দুটি স্থায়ী হাটের বাইরে আরও ২৪টি অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এর মধ্যে উত্তরে ১০টি এবং দক্ষিণে ১৪টি হাটের ইজারার জন্য দুই দফা দরপত্র আহ্বান করেও কাঙ্ক্ষিত দর পাওয়া যায়নি। ফলে সব হাট ইজারা দেওয়া সম্ভব হয়নি।