বিমান ছিনতাইয়ের অ্যালার্ম বেজে উঠল দিল্লী এয়ারপোর্টে
Tweet
প্রায় দু’দশক আগের কান্দাহার বিমান ছিনতাই আতঙ্কের স্মৃতি ফিরল দিল্লি বিমানবন্দরে। হঠাৎ করে বেজে ওঠে বিমান ছিনতাইয়ের অ্যালার্ম। এর ফলে বিমানবন্দরের নিজস্ব নিরাপত্তাবাহিনী এবং ন্যাশনাল সিকিওরিটি গার্ড (এনএসজি) কমান্ডোরা সাথে সাথে বিমানটিকে ঘিরে ফেলেন। আনুমানিক দু’ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালানোর পর নিরাপত্তা বাহিনী বিমানটি উড়ার অনুমতি প্রদান করেন।
কান্দাহারগামী দিল্লি-কান্দাহার এফজি ৩১২ বিমানটি দিল্লি বিমানবন্দর থেকে ছাড়ার কথা ছিল ভারতের স্থানীয় সময় দুপর ঠিক সাড়ে ৩টায়। আরিয়ানা-আফগান এয়ারলাইন্সের বিমানে ১২৪ জন যাত্রী এবং মাত্র কয়েক দিন বয়সের এক শিশু ছিল। পাইলটসহ ৯ বিমানকর্মী বিমানে ওঠার পর টেক অফের জন্য ট্যাক্সি বে থেকে রানওয়ের দিকে এগোচ্ছিল বিমানটি। সেই সময়ই আচমকা বেজে ওঠে ‘হাইজ্যাক অ্যালার্ম’।
ওই অ্যালার্ম বাজলেই সতর্কবার্তা পৌঁছে জায় বিমানবন্দর, এনএসজিসহ সংশ্লিষ্ট সকল জায়গায়। সঙ্গে সঙ্গেই নিরাপত্তাকর্মীরা এবং এনএসজি কমান্ডোর ওই বিমানের চার দিকে ঘিরে ফেলেন। অনেক সময় ধরে বিমানটিকে ঘিরে রাখেন তারা। এরপর পাইলটকে বিমানটিকে ‘আইসোলেশন বে’-তে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। তখন যাত্রীদের মধ্যেও চরম আতঙ্ক বিরাজ করছিল।
বিমানটি আইসোলেশন বে-তেই খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হয়। নিরাপত্তাকর্মীরা এবং এনএসজি কমান্ডোর দল প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে তল্লাশি করে এবং পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর সন্দেহজনক কিছু না পাওয়ায় ওড়ার সবুজ সঙ্কেত দেন। এরপরেও শুল্ক ও অভিবাসন দফতরের কর্তারা দ্বিতীয়বারের মত যাত্রীদের নথিপত্র পরিক্ষা করেন। সব শেষে বিমানটি উড়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়। তার পরই কান্দাহারের উদ্দেশে উড়ে যায় বিমানটি।
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা সংস্থা ব্যুরো অব সিভিল এভিয়েশনের কর্তারা প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছেন, ভুল করে পাইলট বা কেবিন ক্রু কেউ ‘হাইজ্যাক বাটন’ অন করে দিয়েছিলেন। তার কারনেই এই বিপত্তি ঘটে।