মুসল্লিদের পাশাপাশি দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করছে গুঠিয়ার বায়তুল আমান জামে মসজিদ
Tweet
বরিশাল নগরী থেকে ২২ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে উজিরপুরের গুঠিয়ার বায়তুল আমান জামে মসজিদ ও ঈদগাহ কমপ্লেক্সের অবস্থান। ২০০৬ সালে উদ্বোধনের পর থেকেই মুসুল্লিদের পাশাপাশি পর্যটকদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করছে নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীর এ মসজিদটি।
বরিশালের বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টুর ব্যক্তি উদ্যোগে এই মসজিদ ও কমপ্লেক্স নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকা। সময় লেগেছে চার বছর এক মাস। এবং প্রতিদিন কাজ করেছেন ১৪০ জন শ্রমিক।
১৪ একর জমিতে নির্মিত মসজিদ ও ঈদগাহ কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকের ডান পাশে রয়েছে একটি পুকুর, যার চারপাশ বিভিন্ন প্রজাতির ফুল ও গাছ দিয়ে সজ্জিত। দর্শনার্থীদের চলাচলের জন্য রয়েছে পাকা রাস্তা। মোজাইক দিয়ে বাঁধানো হয়েছে পুকুরের ঘাট। ঘাটের ঠিক উল্টোদিকেই বসানো হয়েছে দুটি ফোয়ারা। এখানে আরো রয়েছে কবরস্থান, মাদ্রাসা ও এতিমখানা। মসজিদের তিনপাশে খনন করা হয়েছে কৃত্রিম খাল।
২০টি গম্বুজ সমৃদ্ধ এই মসজিদের কেন্দ্রীয় গম্বুজের চারপাশে ক্যালিগ্রাফির মাধ্যমে লেখা হয়েছে পবিত্র আয়াতুল কুরসি। মসজিদের অভ্যন্তরে চারপাশজুড়ে ক্যালিগ্রাফির মাধ্যমে লেখা হয়েছে সুরা আর রহমান। এসব ক্যালিগ্রাফি ও আলপনা করা হয়েছে বর্ণিল কাচ, মার্বেল পাথর, গ্রানাইট ও সিরামিক দিয়ে। মসজিদের মিনারের দৈর্ঘ্য ১৮৩ ফুট। মসজিদটির ভেতরে একই সময়ে একসাথে ১ হাজার ৪০০ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। আর বাইরের অংশে নামাজ আদায় করতে পারবে আরো পাঁচ হাজার মানুষ।