বিনামূল্যে নয়, সুলভে শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারনেট-ডিভাইস দিতে চায় সরকার
Tweet
কোভিড-১৯ মহামারীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো অপ্রস্তুত অবস্থায় দূরশিক্ষণে জোর দিলেও সব শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের কাছে স্মার্টফোনসহ প্রয়োজনীয় ডিভাইস না থাকায় সবাইকে অনলাইন ক্লাসে আনা যাচ্ছে না।
অনেক শিক্ষার্থীর হাতে স্মার্ট ফোন থাকলেও ইন্টারনেট প্যাকেজ কেনার সামর্থ্য না থাকায় অনলাইন ক্লাসে যোগ দিতে পারছে না।
এই পরিস্থিতিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলছেন, কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চাইলে তাদের শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা সুদে কিস্তিতে মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপ এবং স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করা হবে।
অনলাইন ক্লাসে সব শিক্ষার্থীকে যুক্ত করতে যাদের স্মার্টফোন, ট্যাব বা ল্যাপটপ দরকার, সরকারের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে উদ্যোগ নিয়ে তা সরবরাহের তাগিদ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
শিক্ষার্থীদের জন্য স্মার্ট ডিভাইস ও ইন্টারনেট জোগানের সঙ্গে শিক্ষার ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরিতে নজর দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বাংলাদেশে প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষা স্তরে চার কোটি পাঁচ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। দেশে মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা ১৬ কোটি ১৫ লাখ ছয় হাজার, এরমধ্যে ৩০ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন।
বিটিআরসির হিসেবে, দেশে ইন্টারনেট সংযোগ সংখ্যা ১০ কোটি ২১ লাখ ১৩ হাজার। এর মধ্যে নয় কোটি ৪০ লাখেরও বেশি মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্তের পর গত ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আগামী ৬ অগাস্ট পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা আছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টানা বন্ধ থাকায় পাঠদানের ধারাবাহিকতা রাখতে গত ২৯ মার্চ থেকে মাধ্যমিকের এবং ৭ এপ্রিল থেকে প্রাথমিকের ক্লাস সংসদ টিভিতে দেখানো হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজেদের মতো করে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে।
দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে এক কোটি ৬৩ লাখ ৩৬ হাজার ৯৬ জন, মাধ্যমিক স্তরে দুই কোটি এবং উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৪২ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ বলেন, (প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের) কার কাছে বেসিক ফোন, স্মার্টফোন বা কার বাড়িতে টিভি আছে সেই জরিপ চালানো হচ্ছে।
স্কুল বন্ধের মধ্যে সংসদ টিভিতে প্রাথমিকের যে ক্লাস দেখানো হচ্ছে, তা ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী দেখতে পাচ্ছে বলে ধারণা দেন তিনি।