সুন্দরবনের ২২ হরিণ শিকারের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ
Tweet
সুন্দরবনের ২২টি জবাই করা হরিণ উদ্ধারের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী তিন মাসের মধ্যে সাতক্ষীরার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে সুন্দরবন সংরক্ষণে কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না ,তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে উচ্চ আদালত।
এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে সোমবার (১২ নভেম্বর) বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক, প্রধান বন সংরক্ষক, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, শ্যামনগর থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্ট ১৬ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ৯ জুলাই সুন্দরবন থেকে ২২টি হরিণ শিকারের বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এলাকার বাসিন্দা ও সাপ্তাহিক নয়া বার্তার সম্পাদক আবু বকর জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট শামছুল হক। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ।
গত ৮ জুলাই সুন্দরবনে কোস্টগার্ড ও বনবিভাগ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ২২টি জবাই করা হরিণ উদ্ধার ও ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করে। এ সময় শ্যামনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) লিটন ও হাবিব, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মামুন ও ফজলুল করিম, কনস্টেবল আলমগীর, সাইফুল্লাহ, উত্তম কুমার ইন্টারপোলের তালিকাভুক্ত বাঘ শিকারি আ. সাত্তার মোড়ল, তার সহযোগী আনোয়ারুল ইসলাম, মহিবুল্লাহ, আলী হোসেন, মনজু, সামাদ, বিকাশ, আকজান, ইউসুফ এবং বাচ্চুকে আটক করা হয়।
পরে বনবিভাগকে মামলা করতে না দিয়ে শ্যামনগর থানার এসআই লিটন নিজেই বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন। অভিযোগপত্রে ৩টি হরিণ উদ্ধার ও ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ উল্লেখ করা হয় এবং আসামি করা হয় ৬ জনকে।