করোনায় ভারতে অর্ধলক্ষ মানুষের মৃত্যু, আক্রান্ত ২৬ লাখ
Tweet
ঊর্ধ্বমুখী নমুনা পরীক্ষায় ভারতে আশঙ্কজনকহারে দীর্ঘ হয়েই চলেছে করোনায় আক্রান্ত ও প্রাণহানির মিছিল। ভাইরাসটি ইতিমধ্যে দেশটির প্রায় অর্ধ লাখ মানুষের প্রাণ কাড়ার পাশাপাশি হানা দিয়েছে প্রায় ২৬ লাখ মানুষের দেহে। এমতাবস্থায় দেশজুড়েই দেখা দিয়েছে উদ্বেগ। তবে, দুই-তৃতীয়াংশ রোগী সুস্থতা লাভ করেছেন।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ হাজার ৪৯০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ লাখ ৮৯ হাজার জনে ৬৮২ দাঁড়িয়েছে। যার ষাট শতাংশই চার রাজ্যের (মহারাষ্ট্র, দিল্লি, তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশ)।
অন্যদিকে, গত একদিনে প্রাণহানি ঘটেছে ৯৪৪ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৪৯ হাজার ৯৮০ জনের মৃত্যু হলো করোনায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৭৬ লাখের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টাতে ৭ লাখ ৪৬ হাজারের বেশি।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে সর্বাধিক সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। তারপরেই তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক এবং তেলেঙ্গানা। এদিকে বিশ্ব তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রাজিলের পরে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ করোনাক্রান্ত দেশ হলো ভারত। আর প্রাণহানিতে পঞ্চম। এ দিকে মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি। মৃত্যু হয়েছে ১৯ হাজার ৭৪৯ জন মানুষের।
আক্রান্ত ও প্রাণহানিতে রাজধানী দিল্লিকে টপকানো তামিলনাড়ুতে মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৪৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। আর আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ৩২ হাজারে দাঁড়িয়েছে। তিনে থাকা অন্ধ্রপ্রদেশে করোনার শিকার ২ লাখ ৮১ হাজারের বেশি। তবে, প্রাণহানি কিছুটা কম এখানে। যার সংখ্যা ২ হাজার ৫৬২ জন।
দিল্লিতে করোনার থাবায় প্রাণ গেছে ৪ হাজার ১৮৮ জনের। আর ভুক্তভোগীর সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৫১ হাজার ৯২৮ জনে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে সেখানে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে করোনার দাপট।
সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে প্রথমদিকে সামাজিক দূরত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন লকডাউনের কড়াকড়ি নেই। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ায় বাজার-হাট, গণপরিবহনে বেড়েছে লোকের ভিড়। বেড়েছে একে অপরের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাও। তাই, প্রতিদিনই আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতা লাভ করেছেন ৫৩ হাজারের বেশি রোগী। এতে করে বেঁচে ফেরার সংখ্যা ১৮ লাখ ৬২ হাজার ২৫৮ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটিতে বর্তমানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৬ লাখ ৭৭ হাজারের অধিক।