করোনায় দেশে আরও ৪৬ জনের মৃত্যু

Share on Facebook

দেশে নতুন করোনায় আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ২২৬ জন। শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ২ হাজার ২৬৫ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৯২ হাজার ৬২৫ জন হল। আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ৪৬ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৯০৭ জনে দাঁড়াল।আইইডিসিআরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২ হাজার ৯৫২ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৫৬৭ জন হয়েছে। শনিবার বিকালে সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রম পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮ মার্চ, তা দুই লাখ পেরিয়ে যায় ১৮ জুলাই। এর মধ্যে ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম সংক্রমণ শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৮ জুলাই সেই সংখ্যা তিন হাজার স্পর্শ করে। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয় বুলেটিনে, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৯১টি ল্যাবে ১১ হাজার ৩৫৬ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হল ১৪ লাখ ৩১ হাজার ৮৫৫টি।

২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৪৪ শতাংশ । শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৬০ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৬ জন, নারী ১০ জন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ৪৫ জন ও বাড়িতে ১ জন রোগী মারা গেছেন। মৃত ৪১ জনের মধ্যে ৩৩ জনের বয়স ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে। এছাড়া ৬ জনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে, ৬ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে,১জনের বয়স ছিল ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।

গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ২৭ জন ঢাকা বিভাগের, ৫ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৮ জন রাজশাহী বিভাগের, ১ জন খুলনা বিভাগের, ২ জন বরিশাল বিভাগের, ২ জন সিলেট বিভাগের, ১ জন রংপুর বিভাগের বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

এই পর্যন্ত যারা মারা গেছেন, তাদের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, ষাটোর্ধ্ব রোগীদের মৃত্যুর হার ৪৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বয়সী রোগীদের মৃত্যুর হার ২৭ দশমিক ৮২ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী রোগীদের মৃত্যুর হার ১৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী রোগীদের মৃত্যুর হার ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বয়সী রোগীদের মৃত্যুর হার ২ দশমিক ৪১ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী বয়সী রোগীদের মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ ও শুন্য থেকে ১০ বছর বয়সী রোগীদের মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক ৪৯ শতাংশ। এলাকাভিত্তিক বিশ্লেষণে ঢাকা বিভাগের মৃতের হার ৪৮ দশমিক ১৪ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে ২২ দশমিক ২২ শতাংশ, রাজশাহীতে ৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ, খুলনায় ৮ দশমিক ১১ শতাংশ, বরিশাল বিভাগের মৃতের হার ৩ দশমিক ৯২ শতাংশ, সিলেটে ৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ, ময়মনসিংহে ২ দশমিক ১২ শতাংশ, রংপুরে ৪ দশমিক ১২ শতাংশ।

Leave a Reply