ডায়বেটিস রোগী দের জন্য চিনাবাদাম
Tweet
চীনাবাদাম হচ্ছে সয়াবিনের পর সর্বাপেক্ষা বেশি তেল প্রদায়ী ফসল।গত কয়েক দশকের পরিসংখ্যান ঘাঁটলে দেখতে পাবেন কীভাবে অনিয়ন্ত্রিত কোলেস্টেরলের কারণে হার্টের রোগে আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পয়েছে। তাই এই বিষয়ে সাবধান থাকাটা জরুরি। শরীরে যাতে কোনও ভাবেই বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি না পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর এই কাজটি করবেন কীভাবে? খুব সহজ! প্রতিদিনের ডায়েটে বাদামের অন্তর্ভুক্তি ঘটান, তাহলেই দেখবেন হার্টের স্বাস্থ্য নিয়ে আর চিন্তায় থাকতে হবে না। আসলে বাদামে উপস্থিত বেশ কিছু কার্যকরি উপাদান শরীরে অন্দরে ভাল কোলেস্টরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমতে শুরু করে।
বাদামে থাকা ম্যাগনেসিয়াম রক্তে উপস্থিত শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সেই কারণেই তো ডায়াবেটিকদের নিয়মিত বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ২৫-৩৮ শতাংশ কমে যায়। তাই যাদের পরিবারে এই মারণ রোগের ইতিহাস রয়েছে, তারা সময় থাকতে বাদামকে কাজে লাগাতে শুরু করে দিন। দেখবেন উপকার মিলবে।
পিনাট বাটার স্যান্ডউইচপিনাট বাটারে আছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। এটি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এবং ওজন কমাতে চাওয়া ব্যক্তিদের জন্য দুর্দান্ত। স্মুদি তৈরিতে আপনি পিনাট বাটার যুক্ত করতে পারেন বা মাল্টিগ্রেইন রুটি ব্যবহার করে স্যান্ডউইচ তৈরি করতে পারেন।চিনাবাদাম পোহাউত্তর ভারতীয়দের মধ্যে পোহা সকালের খাবার হিসেবে জনপ্রিয়। কম ক্যালোরির পোহা পছন্দমতো সবজি এবং চিনাবাদাম দিয়ে তৈরি করে খেতে পারেন আপনিও, এটি আপনাকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পৌঁছে দেবে।
জাতীয় চিনাবাদাম বোর্ড অনুসারে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত লোকদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে তাদের ডায়েটে চিনাবাদাম এবং পিনাট বাটার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, তবে তাদের যদি এতে অ্যালার্জি না থাকে। চিনাবাদাম এবং পিনাট বাটারে গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে, যা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য এটি পুরোপুরি নিরাপদ করে তোলে।