উপ নির্বাচন : ঢাকা-নওগাঁয় শেষ সময়ের প্রস্তুতি
Tweet
নওগাঁ-৬ আসনের উপ নির্বাচনে (বাঁ থেকে) আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ মো. রেজাউল ইসলাম ও বিএনপির মো. আনোয়ার হোসেন হেলাল। নওগাঁ-৬ আসনের উপ নির্বাচনে (বাঁ থেকে) আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ মো. রেজাউল ইসলাম ও বিএনপির মো. আনোয়ার হোসেন হেলাল। ঢাকা-৫ ও নওঁগা-৬ আসনের উপ নির্বাচনে ভোট করতে শেষ মূহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হবে এ দুই আসনে। এজন্য প্রতিটি ভোটকক্ষে একটি করে ইভিএম থাকছে; থাকবে কারিগরি দলও। সেই সঙ্গে যেকোনো ধরনের ত্রুটি মোকাবেলায় অতিরিক্ত ইভিএমও প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুই উপ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা। শুক্রবার বিকালের মধ্যে ইভিএমসহ নির্বাচনী মালামাল সব কেন্দ্রে পৌঁছানো হবে।
স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত একটানা ভোট চলবে। অভিযোগ আমলে নেওয়া হচ্ছে ঢাকা-৫ উপ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জি এম সাহতাব উদ্দিন জানিয়েছেন, প্রার্থীদের প্রচারণা শেষ। ছোটোখাটো অভিযোগ তো থাকেই প্রার্থীদের। তবে বড় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
বৃহস্পতিবার রাতে তিনি বলেন, “ভোটের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার কেন্দ্রে কেন্দ্রে ইভিএমসহ সব নির্বাচনী মালামাল পৌঁছে যাবে। প্রিজাইডিং অফিসার ও সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা সদস্যরাও থাকবেন সেসময়।”
ঢাকা-৫ আসনে প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন (বাঁ থেকে) আওয়ামী লীগের কাজী মনিরুল ইসলাম, বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদ ও জাতীয় পার্টির মীর আব্দুস সবুর।ঢাকা-৫ আসনে প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন (বাঁ থেকে) আওয়ামী লীগের কাজী মনিরুল ইসলাম, বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদ ও জাতীয় পার্টির মীর আব্দুস সবুর।ইভিএমে ভোট হওয়ায় কেন্দ্রে কেন্দ্রে কারিগরি টিমের সদস্যও থাকবেন বলে জানান তিনি।
সাহতাব বলেন, “স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোটের আয়োজন থাকছে। কেন্দ্রে সবার জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী থাকবে, ভোটারদের জন্যও। বাইরে ব্যানারও থাকবে স্বাস্থ্য বিধি নিয়ে। প্রার্থীদের সব ধরণের অভিযোগ আমলে নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
দনিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে নির্বাচনী মালামাল বিতরণ হবে। ভোটের ফলাফলও দেওয়া হবে এখানেই। ঢাকা-৫ আসনের রিটার্নিং অফিসারের ফল ঘোষণার কার্যালয়ও থাকবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৮, ৪৯, ৫০, ৬০, ৬১, ৬২, ৬৩, ৬৪, ৬৫, ৬৬, ৬৭, ৬৮, ৬৯ ও ৭০ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে এ আসন গঠিত। উপ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ১৮৭টি, ভোটকক্ষ ৮৬৪টি। এই আসনে ভোটার ৪,৭১,১২৯ জন।
হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া এই আসনের উপ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের কাজী মনিরুল ইসলাম, বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদ, জাতীয় পার্টির মীর আব্দুস সবুর, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আরিফুর রহমান এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের আনছার রহমান শিকদার।
নওগাঁ-৬ আসনের উপ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোটের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে।
ইভিএমে ভোট হওয়ায় প্রতিটি ভোটকক্ষের সমপরিমাণ অতিরিক্ত ইভিএমও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। “কোনোভাবে কেনো কক্ষে ত্রুটি বা সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে তা রিপ্লেস করা বা ত্রুটিমুক্ত রাখার বিষয়ে প্রস্ততি রয়েছে আমাদের। এখন পর্যন্ত কোনো অসুবিধা হয়নি। শুক্রবার কেন্দ্রে কেন্দ্রে ইভিএম পৌঁছে যাবে।”
নওগাঁ-৬ আসনের উপ নির্বাচনে (বাঁ থেকে) আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ মো. রেজাউল ইসলাম ও বিএনপির মো. আনোয়ার হোসেন হেলাল।নওগাঁ-৬ আসনের উপ নির্বাচনে (বাঁ থেকে) আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ মো. রেজাউল ইসলাম ও বিএনপির মো. আনোয়ার হোসেন হেলাল।রিটার্নিং কর্মকর্তারা জানান, ইভিএমে ভোট হওয়ায় সকাল কোনোভাবেই অনিয়মের সুযোগ নেই। নির্ধারিত সময়ে ইভিএমে উন্মুক্ত করা হবে।
রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ-৬ আসনে ভোটার ৩,০৬,৭২৫ জন। এখানে ভোটকেন্দ্রে ১০৪টি, ভোটকক্ষ ৭২১টি। এ উপ নির্বাচনে প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের শেখ মো. রেজাউল ইসলাম, বিএনপির মো. আনোয়ার হোসেন হেলাল ও এনপিপির মো. খন্দকার ইন্তেখাব আলম। ইসরাফিল আলমের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয় গেল মার্চে করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে ইভিএমে অনুষ্ঠিত ঢাকা-১০ আসনের উপ নির্বাচনে মাত্র পাঁচ শতাংশ ভোট পড়েছিল।
সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলছেন, আতঙ্ক ও নেতিবাচক প্রচারণায় সে সময় ভোট কম পড়েছিল। এখন আগের চেয়ে উপস্থিতিও বাড়বে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতা থাকলে ভোটার উপস্থিতিও বাড়বে বলে মনে করেন সিইসি। তিনি বলেছেন, মাঠে ব্যাপকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন যদি না হয়, তখন ভোটারদের অনীহা থাকে।