আলোচনার আগে ধর্মঘট প্রত্যাহার চান নৌযান মালিকরা
Tweet
ধর্মঘটের তৃতীয় দিনেও পণ্যবাহী নৌযান শ্রমিকদের এগারো দাবির কোনো সুরাহার খবর মেলেনি; বরং পণ্যবাহী জাহাজ মালিকরা বলছেন, ধর্মঘট প্রত্যাহার করে আলোচনায় বসতে হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজয়নগরের আকরাম টাওয়ার বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল অ্যাসোসিয়েশনের সভা কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাবেক সহ-সভাপতি মো. খুরশিদ আলম বলেন, “শ্রমিক নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত থাকা কিছু কর্মচারীবৃন্দ দেশের চলমান অব্যাহত অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার জন্য নেতিবাচক কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে আমরা মনে করি।”
শ্রমিকদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “২০১৬ সালে সরকারি কর্মচারীদের বেতন স্কেলের বেতন, বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, ইনক্রিমেন্ট, ধোলাই ভাতা ও উৎসব বোনাস, গ্রাচুইটি, ছুটির বেতন, রান্না করার জ্বালানি, মালিক কর্তৃক বাবুর্চি নিয়োগ, তেল সাবানসহ সকল সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে।
“সে গেজেট ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। আর মাত্র কয়েকটা মাস, তারপর তো আলোচনা করতে পারেন শ্রমিকরা। বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন ও নৌশ্রমিক অধিকার সংরক্ষণ ঐক্য পরিষদের খাদ্যভাতাসহ অন্যান্য দাবি এই প্রেক্ষাপটে অসৌজন্যতার সামিল।”
এক প্রশ্নে খুরশিদ আলম বলেন, “শ্রমিকরা যদি মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায়, তাহলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে বসতে হবে।”
তা না হলে জাহাজ চালানো সম্ভব নয় বলে জানান তিনি। খাদ্য ভাতাসহ ১১ দাবিতে সোমবার রাত ১২টা থেকে পণ্যবাহী নৌযান শ্রমিকরা ধর্মঘটে যান। মঙ্গলবারও মালিকরা ছয় দফা দাবি তুলে ধরে বলেন, অযৌক্তিক দাবি মেনে জাহাজ চালানো সম্ভব নয়।
দুই পক্ষ অনড় থাকায় বৃহস্পতিবারও সারাদেশে পণ্যবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন বন্দরে পণ্য খালাস। তবে আপাতত খাদ্যভাতা বিষয়ে চুক্তি হলে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ইঙ্গিত বুধবার দিয়েছিলেন বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম।
বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের অধীনে পাঁচ হাজার জাহাজ রয়েছে। আর এসব জাহাজে প্রায় দুই লাখ শ্রমিক কাজ করেন বলে শ্রমিক নেতারা জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, কোস্টাল শিপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ওয়েল ট্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ট্যাংকার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও লঞ্চ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।