ঘুমের সময়সূচি নিয়ে যতো কথা

Share on Facebook

ঘুমের জন্য পারফেক্ট সময়সূচী কখন?
এক ফউন্ডেশনের সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে যে এ প্রশ্নের উত্তর আসলে নির্ভর করে বয়সের উপর।
একজন মানুষের ঘুমের জন্য আদর্শ সময় হচ্ছে সাত ঘন্টা৷ যেসব মানুষ প্রতিদিন সাত ঘন্টার কম বা বেশি ঘুমিয়ে থাকেন, তাঁদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়৷ আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এটা মৃত্যুর একটি বড় কারণ৷ সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় এমন একটা তথ্যই উঠে এসেছে৷

রুটিন না মেনে চলা, অ্যালকোহল বা উত্তেজক কিছু সেবন, যেমন কফি বা কোন এনার্জি ড্রিঙ্ক, এলার্ম ঘড়ি বা দিনের আলো এমন সব কিছুই প্রাত্যহিক জীবন চক্রকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন বা এনএসএফ বলছে প্রত্যেকের লাইফ স্টাইলই আসলে তার ঘুমের চাহিদা বুঝতে মূল ভূমিকা পালন করে থাকে।

কিন্তু বয়স অনুসারে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে পরামর্শও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

• নবজাত শিশু : (৩ মাস পর্যন্ত) ১৪ থেকে ১৭ ঘণ্টা। যদিও ১১ থেকে ১৩ ঘণ্টাও যথেষ্ট হতে পারে। তবে কোন ভাবেই ১৯ ঘণ্টার বেশি হওয়া উচিত নয়।

• শিশু (৪ থেকে ১১ মাস) : কমপক্ষে ১০ ঘণ্টা আর সর্বোচ্চ ১৮ ঘণ্টা।

• শিশু (১/২ বছর বয়স):১১ থেকে ১৪ ঘণ্টা

• প্রাক স্কুল পর্ব (৩-৫ বছর বয়স): বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ১০ থেকে ১৩ ঘণ্টা।

• স্কুল পর্যায় ( ৬-১৩ বছর) : এনএসএফ’র পরামর্শ ৯-১০ ঘণ্টার ঘুম

• টিন এজ (১৪-১৭ বছর): ৮-১০ ঘণ্টার ঘুম প্রয়োজন।

• প্রাপ্ত বয়স্ক তরুণ (১৮-২৫ বছর): ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।

• প্রাপ্ত বয়স্ক (২৬-৬৪ বছর): প্রাপ্ত বয়স্ক তরুণদের মতোই।

• অন্য বয়স্ক ( ৬৫ বা তার বেশি বছর): ৭/৮ ঘণ্টার ঘুম আদর্শ। কিন্তু ৫ ঘণ্টার কম বা ৯ ঘণ্টার বেশি হওয়া উচিত নয়।

 

দিন ও রাত মিলিয়ে পাঁচ ঘন্টার কম ঘুমালে বুকে ব্যাথা, হৃদপিন্ডের ধমনীতে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি নাকি দ্বিগুন বেড়ে যায়৷ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদে পরিচালিত এ গবেষণাটির কথা বলা হয়েছে ‘স্লিপ’ পত্রিকাতে৷ সমীক্ষাটিতে বলা হয়েছে, সাত ঘন্টার বেশি ঘুমালেও কিন্তু আবার হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে৷ সমীক্ষায় যারা অংশ নিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে নয় ঘন্টা বা তারও বেশি যাঁরা ঘুমিয়েছিলেন – তাঁদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি, যাঁরা সাত ঘন্টা ঘুমিয়েছিলেন – তাঁদের চেয়ে এক থেকে দেড় গুন বেশি৷ অবাক হলেন ?

জানা গেছে, ৬০ বছরের কম পূর্ণ বয়স্ক যেসব মানুষ পাঁচ ঘন্টা বা তার চেয়ে কম ঘুমান, তাঁরা আছেন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে৷ যারা সাত ঘন্টা ঘুমান, তাঁদের চেয়ে এইসব মানুষদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি প্রায় তিন গুন বেশি৷ আর যেসব নারী ঘুমের ক্ষেত্রে কৃপণ, অর্থাৎ যাঁরা প্রতিদিন পাঁচ ঘন্টা বা তারও কম ঘুমান – তাঁদের হৃদরোগের সম্ভাবনা দুই থেকে আড়াইগুন বেশি৷ গবেষণাটিতে দেখা যাচ্ছে, অল্প ঘুমের কারণে বুকে ব্যাথা হয়৷ অন্যদিকে, বেশি বা কম ঘুম হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়৷

 

 

Leave a Reply